নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অটো ভ্যান চালক ও তার স্ত্রীকে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বরাইগ্রাম পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, রোববার (১২ জানুয়ারী) দুপুরের দিকে বড়াইগ্রাম পৌর এলাকার বিষ্ণুপুর গ্রামের অটো ভ্যানের চালক আবুল কালাম আজাদ (৪৫) বাড়ির সামনে অটো ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার সময় পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম হোসেনের মোটরসাইকেলে সঙ্গে হালকা ধাক্কা লাগলে ছাত্রলীগ নেতা মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাকে প্রথমে গালমন্দ ও কিল-ঘুষি মারা শুরু করে।
সেসময় স্বামীকে মারপিট থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪০)। তিনি এসে বাধা দিলে তাকেও(মরিয়ম বেগমকে) জিগার ডাল দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। শামীম হোসেনের বেধড়ক মারপিটে মারাত্মক ভাবে আহত হন তিনি। পরে এলাকাবাসী এসে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে এবং মরিয়ম বেগম বেশি আহত হওয়ায় তাকে বড়াইগ্রাম থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
বর্তমানে সে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান মরিয়মের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালসিটে দাগ দেখা গেছে।
মা বয়সী মহিলাকে মারপিটের ঘটনায় বড়াইগ্রাম পৌর এলাকার ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে অভিযুক্ত পৌর ছাত্রলীগ নেতা শামীম হোসেন বলেন, আমার মামা-বাবা এমপির প্রোগ্রামে যাচ্ছিল। একটুর জন্য অটো ভ্যানটির ধাক্কা লাগেনি তাদের বহণকারী বাইকের। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে অটো ভ্যান চালক বাবা ও মামাকে গালমন্দ করে এবং মারমূখী আচরণ করে। আমি তা দেখে অটো ভ্যানচালককে দুই চারটে চড়থাপ্পড় মেরেছি। তবে তার স্ত্রীকে আমি মারিনি।
বিষ্ণুপুর গ্রামের ষটোর্ধ বৃদ্ধ কাহের আলী বলেন, মা বয়সী মহিলাটিকে ছেলে বয়সী ছাত্রলীগ নেতা জিগার ডাল দিয়ে যেভাবে মেরেছে তা চোখে দেখা যায় না। এমন নেতাকর্মীর জন্য ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।
এবিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাস বলেন, মারপিটের ঘটনায় এখনো অভিযোগ পায়নি । অভিযোগ পেলে তদন্তস্বাপক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্ব.বা/শা