স্বদেশ বাণী ডেস্ক: রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের দু’বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। রোববার বাদ আসর তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফের প্রথম জানাজার পর হেলিকপ্টারে করে মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে নেয়া হয়। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টায় শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের মরদেহ ঢাকায় এনে আসরের পর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তার নামাজে জানাজায় অংশ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়া দেশের ব্যবসায়ী সমাজসহ সাধারণ জনগণ এতে অংশ নেন।
সৈয়দ আশরাফ বৃহস্পতিবার ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে মারা যান। এরপর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায় শনিবার সন্ধ্যায়। মরদেহ গ্রহণ করেন তার ভাই সাফায়েত উল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য নেতারা।
সেখান থেকে আশরাফের মরদেহবাহী গাড়ি রওনা হয় বেইলি রোডে তার সরকারি বাসভবনের উদ্দেশে। রাতে আশরাফের মরদেহ বেইলি রোডের বাসা থেকে নিয়ে রাখা হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে।
৬৭ বছর বয়সী এ রাজনীতিবিদ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান জনপ্রশাসনমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ নৌকার প্রার্থী হয়ে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।