টিভি নাটকের অভিনেত্রীদের কেউ কেউ ধারাবাহিকে কাজ করতে চান না। এর কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, ধারাবাহিকের গল্পের ধারাবাহিকতা থাকে না। নির্মাণেও থাকে যত্নের অভাব। কিন্তু জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনির কোনো আগ্রহের কমতি নেই এই ধারার কাজে। তার কাছে ধারাবাহিক এবং খ- নাটকে কাজ করার বিষয় সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। জেনি বলেন, ‘অভিনয় আমার পেশা। তাই আমাকে শ্রম দিয়ে কষ্ট করে অভিনয় করতে হয়। ধারাবাহিকে কিংবা খ- নাটকে কাজ করতে হলে আমাকে তো কষ্ট করতেই হবে। তাই ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ে আমার কখনোই অনীহা আসেনি। বরং আমি একটি চরিত্রে নিজেকে নিজের মতো করেই পোর্ট্রে করার চেষ্টা করি। দর্শকের তা ভালো লাগলে সেখানে নিজের কষ্টের সার্থকতা খুঁজে পাই। তবে এটাও সত্য অনেক ধারাবাহিকের গল্পের ধারাবাহিকতা থাকে না। আমি যে সকল শ্রদ্ধেয় নির্মাতার নাটকে কাজ করি, তাদের নাটকের গল্পে ধারাবাহিকতা থাকে। তাই আমার কোনোরকম সংশয় থাকে না তাদের নাটকে কাজ করতে। যে কারণে নির্মাতাদের প্রতি সবসময়ই আমি কৃতজ্ঞ।’ জেনি বর্তমানে কাজ করছেন রুলীন রহমানের ‘ভালোবাসা কারে কয়’, ‘রোড নাম্বার ৭ বাড়ি নাম্বার ১৩’, রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘নিউইয়র্ক থেকে বলছি’ ও আল হাজেনের ‘সুখের ভিতর অসুখ’ ধারাবাহিকে। উল্লেখিত নাটকগুলো প্রচার হচ্ছে যথাক্রমে এনটিভি, বাংলাভিশন, দীপ্ত টিভি ও এটিএন বাংলায়। এদিকে আগামী ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর জেনি পূবাইলে রুলীন রহমানের ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিবেন। আগামী ডিসেম্বরে তিনি একই পরিচালকের নতুন আরেকটি ধারাবাহিকের শুটিং শুরু করবেন। এছাড়া গেলো ঈদে মোশাররফ করিমের বিপরীতে আদিবাসী মিজানের নির্দেশনায় একটি ঈদ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন জেনি। তাকে এখনো চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। এর কারণ জানতে চাইলে জেনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে আগ্রহ নেই তা বলবো না। আমার আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু কেনো যে ব্যাটে-বলে মিলছে না তাও বলতে পারছি না।’