বাঘা প্রতিনিধি: বাঘায় মাদ্রাসায় মারা যাওয়া তাবলীগ জামায়াতের সেই আবুল কালামের সংগৃহিত নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তার মৃত্যু হয়েছে ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপজনিত কারণে। বুধবার (৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় বাঘা পৌর সভার দক্ষিন মিলিক বাঘায় অবস্থিত জামিয়া ইসলামীয়া দারুল উলুম (মহিলা) মাদ্রাসায় তিনি মারা যান। পরে নমুৃনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে তার শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। মৃত আবুল কালামের বাড়ি বাঘা পৌরসভার উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামে।
শুক্রবার(১০-০৪-২০২০) বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা.আকতারুজ্জামান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শরীরে করোনাভাইরাস ছিল কি-না এ ব্যাপারে রাজশাহীতে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
আবুল কালামের ছেলে মাওলানা সুলতান আহমেদ জানান,তার উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস (বহমুত্র)সহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুখ ছিল। এসব রোগে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতেন। ওইদিন ফজরের নামাজ পড়েছেন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পানি পান করতে গিয়ে আর পারেননি। এক পর্যায়ে মারা যান। মৃত্যুর সময় পরিবারের লোকজনও সেখানে ছিল। মৃত্যুর আগের দিন মঙ্গলবার নিজ বাসার লোকজনের সাথেও দেখা করে গেছেন।
উপজেলার বাঘা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও তাবলীগ জামায়াতের সদস্য মাওলানা আব্দুল গফুর মিঞা জানান, ১২০ দিনের চিল্লায় বের হয়েছিলেন। দেশের করোনা পরিস্থিতির কারণে,৫এপ্রিল কুষ্টিয়ায় তাবলীগের জামায়াত থেকে ফিরে নিজ এলাকার মসজিদে ছিলেন। সেখান থেকে আরেকটি চিল্লায় যাওয়ার কথা ছিল। এ কারনে ৩দিন আগে কুষ্টিয়া থেকে এসে ওই মাদ্রাসায় ছিলেন। তার এক ছেলে মাওলানা সুলতান আহম্মেদ সেই মাদ্রাসার মুহতামিম (পরিচালক)। সেই সুবাদে পরিবারের লোকজনও সেখানে ছিলেন। বুধবার বাদ আসর দুরুত্ব বজায় রেখে স্বাভাবিক জানাযা নামাজ শেষে বাঘার কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর মিঞা।
স্ব.বা/বা