স্টাফ রিপোর্টার: ইনডোর প্লে জোন বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের জন্য আধুনিক একটি খেলার জায়গা। কমোলমতি শিশুদের বিনোদন দিতে রাজশাহী শহরে প্রতিষ্ঠত হলো আধুনিক ডিজিটাল ইনডোর প্লে জোন “হাই ফাইভ” নামক একটি প্রতিষ্ঠান। এটি এই বছরের শুরুতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী ও ঢাকা সহ দুটি ব্রাঞ্চ নিয়ে একসাথে এর যাত্রা শুরু হয়। আগামী ১৫ জুলাই এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষথেকে জানানো হয়েছে।
ইনডোর প্লে জোন “হাই ফাইভ” এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন যে, বাচ্চাদের বিনোদনের কথা চিন্তা করে ভবিষ্যতে বিভিন্ন শহরে আরো কিছু ব্রাঞ্চ করার পরিকল্পনা কোম্পানিটির রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে অন্যান্য যত ইনডোর প্লে জোন আছে তার মধ্যে হাই ফাইভ ঢাকায় যত বৃহৎ প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে একটি এবং বলা যায় বর্তমান সময়ে একই ফ্লোরে এটিই সব চেয়ে বড় প্লে জোন।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর প্লে-জোনটি প্রায় ২৫’শ স্কয়ার ফুটেরও বেশি এবং ঢাকার প্লে-জোনটি প্রায় ৮ হাজার স্কয়ার ফুটের মত জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। রাজশাহীতে তো প্রায় ২২ টির বেশি খেলাধুলার সরঞ্জামাদি আছে।
এখানে আধুনিক সময়ের কিছু আধুনিক খেলনা আছে যেগুলো বাচ্চাদের জন্য খুবই উপভোগ্য যেমন- ইন্টারেকটিভ ওয়াল গেমঃ এর মধ্যে থাকে বিভিন্ন সেন্সর গেম যেগুলো বাচ্চারা যখন হাতে লেজার গান(বন্ধুক) দিয়ে ওয়ালে শুট করবে তখন ওইখানকার বিভিন্ন খেলনাগুলো ফুটে যাবে।
এছাড়াও ইন্টারেক্টিভ ফ্লোর গেম একইরকমভাবে ফ্লোরে যখন বাচ্চারা ছোটাছুটি করবে তাদের পেছনে পেছনে মাছ দৌড়াবে, বল খেলবে আরোও অন্যান্য গেম খেলবে যেগুলো সেন্সরের মাধ্যমে কাজ করবে।
মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, করোনায় ভিতিকর সময়ে বাচ্চারা ঘরে বসে থাকতে থাকতে অনেক বিরক্ত হয়ে গেছে। বাই আমরা বর্তমান সময়ের সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করছি এই প্লে জোনটি।
স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে তিনি বলেন, প্লে-জোনে ঢোকার আগেই আধুনিক তাপ মাপার যন্ত্র দিয়ে শরীরের তাপ মাপা হচ্ছে বাচ্চার এবং অভিভাবকের। তারপর সুরক্ষা গেটে পুরো শরীর জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয় এবং নির্দিষ্ট জুতা রাখার জায়গায় জুতা রেখে প্লেগ্রাউন্ড এ ঢোকার পূর্বে মৌজা এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ মৌজা সাথে না নিয়ে আসে তাহলে কাউন্টার থেকে কিনে নিয়ে ভিতরে ঢুকতে হবে।
রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠিত বাচ্চাদের জন্য আধুনিক ইনডোর প্লে জোন “হাই ফাইভ” ঘুরে দেখা গেছে এখানে প্রায় ২২ ধরনের গেমস ও খেলাধুলা রয়েছে। সেগুলো হলো – ইন্টারেক্টিভ ওয়াল গেম, ইন্টারেক্টিভ ফ্লোর গেম, বল পুল, ট্রামপোলাইন (জাম্পিং), ¯øাইডার, কম্পিউটার গেম-টার্গেটিং,ওয়াটার বেড, কার, পনি টার্নটেবল, প্ল্যানেট পাজেল, এ্যাবাকাছ পাজেল, ¯øাইডার, দোলনা, রক ক্লাইম্বিং, ডাম্বেল, বাসকেট বল, টার্গেটিং, ইনফ্রাডেবল বোট সহ রকিং এ্যালিফেন্ট, রকিং হর্স, বক্সিং, ইনফ্রাডেবল কার সহ আরোও অন্যান্য মজার মজার গেইম।
এছাড়াও আছে- আছে বাচ্চাদের শারীরিক গঠন মূলক বিভিন্ন মজার মজার খেলনার পাশাপাশি, লেজার/ ইন্টারেক্টিভ চমকপ্রদ সব গেম। সেই সাথে আছে বাচ্চাদের শারীরিক ব্যায়াম করার ও বিভিন্ন উপকরন। Birthday/ Class Party Space. — এই সবই পাচ্ছেন শুধুমাত্র এন্ট্রি টিকেটের সাথেই।
আরোও আছে বাচ্চাদের বিভিন্ন মজার মজার ও চমকপ্রদ বই নিয়ে বড় একটি ডিজিটাল লাইব্রেরী, মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে বইয়ের উপর ক্যামেরা ওপেন করলে বিভিন্ন প্রাণীগুলো জীবন্ত প্রানীর মত লাফিয়ে উঠবে। শিক্ষনীয় মজার মজার গল্পের বই, ডিজিটাল লার্নিং পেন,কোরআনিক পেন, ছবি আঁকার মজার মজার খাতা সহ প্রায় একশ রকমের বাচ্চাদের বই। * Food Court যা টিকেটের সাথে অন্তর্ভুক্ত নয়।
হাই ফাইভ প্লেজোনে একবার টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করলে বাচ্চারা দুই ঘন্টা খেলার সুযোগ পাবে। ভেতরে গিয়ে আর আলাদা আলাদা গেমের জন্য কোন টাকা লাগেবেনা।
তবে খাবার এবং বই কিনলে তার জন্য আলাদা টাকা প্রদান করতে হবে।
ইনডোর প্লে জোন “হাই ফাইভ” নবযাত্রা উপলক্ষে রাজশাহীবাসীর জন্য বিভিন্ন অফার দিচ্ছে। সেগুলো হলো একজন বাচ্চার জন্য এন্ট্রি ফি ২৫০ টাকা। গার্ডিয়ান এন্ট্রি ফি ১০০ টাকা। (বর্তমানে ম্যানেজার ডিল চলছে একজন বাচ্চার সাথে একজন গার্ডিয়ান এন্ট্রি ফ্রি)। সময়ঃ ২ ঘন্টা। তবে ২ ঘণ্টার পর প্রতি ঘন্টার জন্য ১০০ টাকা করে পে করতে হবে।
তাছাড়া প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে ফেসবুক পেইজ লাইক দিতে হবে https://www.facebook.com/hifivebadda/ “হাই ফাইভ” পেজে লাইক দিন।
স্ব.বা/বা