সারোয়র হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভায় ফের দরপত্র আহবান করে জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ঠিকাদারগণ পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দূর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ উঙ্খাপন করেছে। এদিকে আবারো দরপত্র অহবানে জালিয়াতির খবর ছড়িয়ে পড়লে পৌরবাসির মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড় বইছে মূখরুচোক গুঞ্জন।
স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, সম্প্রতি মুন্ডুমালা পৌরসভা থেকে (আই ইউ আই ডি পি-২) মাঝারি শহর বা জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ৬টি গ্রুপে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে পচ্ছন্দের ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিতে অত্যন্ত গোপণে অপ্রচলিত পত্রিকা ও অনলাইনে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা গোপণ রাখে বলে অভিযোগ করেন ঠিকাদারগণ। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হলে পৌরসভার নিবন্ধিত ঠিকাদারগণ দরপত্রের সিডিউল কিনতে চাই চলতি বছরের ১৩ ফেব্ররুয়ারী ছিল সিডিউল বিক্রির শেষ দিন।
কিন্তু দরপত্র আহবানের পর থেকে মেয়র ও সচিব বিভিন্ন অজুহাতে আত্বগোপণ করে এতে ঠিকাদারহণ সিডিউল কিনতে ব্যর্থ হয় মেয়র-নচিব না থাকায় কোনো ঠিকাদার তাদের লাইসেন্স নবায়ন করতে পারেনি। কারণ মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান এবং মেয়রের ঘনিষ্ঠ দুই ঠিকাদারের লাইসেন্স নবায়ন করার পর পরই মেয়র ও সচিব আত্বগোপণ করে ও সিডিউল বিক্রির শেষ দিন ১৩ ফেব্ররুয়ারী বুধবার বিকেলে উভয়েই এলাকায় আসেন বলে অভিযোগ ঠিকাদারগণের। ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম ও বকুল হোসেন বলেন, মেয়র-সচিব যোগসাজশ করে তাদের লাইসেন্স নবায়ন করেনি তাই তারা সিডিউল কিনতে পারেননি।
এদিকে স্থানীয় নাগরিকগণ অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বফরই মুন্ডুমালা পৌরসভায় এই প্রকল্প দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হয়। তারা বলেন, সরেজমিন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অনুসন্ধান করা হলে অভিযোগের মত্যতা পাওয়া যাবে, এই বছরেও এই প্রকল্প দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাটের উদ্দেশ্যে মেয়র-সচিব এমন কাজ করেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী এ বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় এমপি মহোদয়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বনী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলেন। এ বিষয়ে পৌর সচিব আবুল হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি মেয়র স্যারের নিদের্শনা মোতাবেক কাজ করেছেন এর বেশি কিছু তিনি বলতে পারবেন না। তবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমপি স্যারের কাছে জবাব দিতে তারা বাধ্য নয় কারণ পৌরসভার বিষয়ে তাদের কিছু করনীয় নাই।