স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীর সাগর পাড়া থেকে রাণীবাজার পর্যন্ত এই রাস্তাটি গেল ছয় বছর ধরেই নগরবাসীর কাছে ছিল এক দূর্ভোগের নাম বৃহস্পতিবার রাস্তাটির কার্পেটিং কাজ শুরু হয়।পরে কাজ পরিদর্শনে যান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় তিনি কাজের গুণগতমান ও কাজের অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে রাস্তাটি ছিল অপ্রশ্বস্ত।তাই ৪২ ফুট পর্যন্ত রাস্তাটির প্রস্থ বৃদ্ধি করে সংস্কার কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। ৪ টি অংশের একটি হিসেবে রাণীবাজার-সগরপাড়া রাস্তাটির নির্মান কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের নাম ” রাজশাহী মহানগরীর উপশহর মোড় থেকে সোনাদীঘি মোড় এবং মালোপাড়া মোড় থেকে সাগরপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশ্বস্ত করণ ও উন্নয়ন”
প্রকল্পের একেবারে শেষের অংশ হিসেবে রাণীবাজার-সগরপাড়া সড়ক নির্মানের কাজ শুরু হয়। কাজটি শুরু করে ‘বিসমিল্লাহ ট্রেডাস’ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।২০১৭ সালে ডিসেম্বর মাসে কাজের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।এতে দূর্ভোগ নৃত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায় বেলদারপাড়া,সাগরপাড়া,রেশমপট্টি ও রানীবাজার সহ আশেপাশের মহল্লার বাসিন্দাদের ।
তবে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর মেয়র হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দায়িত্বগ্রহনের পর রাস্তাটির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। পরে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়।এবার কাজটি পায় “রিথিন এন্টারপ্রাইজ” নামের একটি প্রতিষ্ঠান।তারা রাস্তাটিতে আবার নতুন করে ইট,খোয়া ফেলে কার্পেটিং এর কাজ শুরু করলো।
এই সড়ক নির্মানের এই প্রকল্পের পরিচালক সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন,সড়কটি নির্মান করার জন্য ঐ এলাকার প্রায় ৯০ টি বাড়ি ভেঙ্গে জমি অধিগ্রহন করতে হয়েছে। প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে বৈদ্যুতিক খুটিও।এসব কাজে বেশ সময় চলে গেছে।তবে দুইএকদিনের মধ্যে কার্পেটিং এর কাজ শেষ হবে। এতে মানুষের দূর্ভোগেরও শেষ হবে।