নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের লালপুরে ১০ বছরের এক শিশুকে পদ্মানদীতে বেধে রাখা একটি নৌকায় উঠিয়ে নিয়ে চার যুবক মিলে গণবলৎকার সহ বলাৎকারের ভিডিও ধারন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে এক সপ্তাহ পর শিশুর বাবা বাদি হয়ে গতকাল রোববার ৪ অক্টোবর লালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার দুুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে এই গণবলাৎকারের ঘটনা ঘটে।
শিশুটির বাবা মানিক আলী জানান, গত ২৭ তারিখ বিকেলে উপজেলার নওয়াপাড়া পানসিপাড়া গ্রামে তার দশ বছরের ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেগমতলার দক্ষিন পার্শ্বে পদ্মানদীর ধারে খেলতে যায়।
এ সময় একই এলাকার মুস্তাকের ছেলে মাহাফুজ, রান্টুর ছেলে রিমন আলী, আব্দুর রহিমের ছেলে সেলিম, রেজাউলের ছেলে শিশির তার ছেলেকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে নৌকার উপরে নিয়ে পালাক্রমে বলাৎকার করে। এসময় শিশির নামে একজন তার মোবাইলে বলাৎকারের ভিডিও ধারণ করে। বলাৎকারের পর শিশুটিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পরে সন্ধ্যায় ছেলে বাড়ি এসে আমাকে বিষয়টি জানালে আমি এলাকার নেতৃত্বদয়কে বিষয়টি জানায়। পরে ৩০তারিখে এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেনের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করি। তার ছেলেকে বলাৎকারের ভিডিও উদ্ধার করলেও বিষয়টি মিমাংশার জন্য কালক্ষেপন করা হয়।
পরে ২ সেপ্টেম্বর ছেলেকে লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং স্থানীয় ভাবে বিচার না পাওয়ায় গতকাল ৪ অক্টোবর লালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলৎকারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি ওই ভিডিও টি দেখেছেন।
লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা সাংবাদিকদের জানান, শিশু বলৎকারের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনার সত্যতা তদন্ত করা সহ অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্ব.বা/শা