তথ্যবিবরণী: রাজশাাহীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করা হয়েছে।
১৭ মার্চ সকাল সাড়ে নয়টায় সিএন্ডবি মোড় হতে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত শিশু সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল দশটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল সোয়া দশটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। একই স্থানে ‘শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য’ সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।
রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মো: নূর-উর-রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিস আক্তার, ডিআইডি এম খোরশীদ হোসেন, পুলিশ সুপার মো: শহীদুল্লাহ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুল হাদি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বক্তাগণ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সর্বগুণের অধিকারী। তিনি জনগণের মুক্তির জন্য অনেক জেল জুলুম খেটেছেন এবং পাকিস্তানি হায়েনাদের অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন। তিনি শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং মেমোরিয়াল অব ওর্য়াল্ড রেজিস্টারে তাঁর ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর আলোচনা ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। বাদ যোহর সকল মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সুবিধামত সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করে।