সারোয়ার হোসেনঃ রাজশাহীর তানোর পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের ভিতরে কোন্দল সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সেভেন স্টারের অনুসারী ইমরুল হক বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,গত তানোর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ইমরুল হক মেয়র গোলাম রাব্বানীকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান এমরান আলী মোল্লা ও জামায়াতের রোকন সিরাজুল ইসলাম এবং ইমরুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান মিজানের সাথে গোপন আতাত করে নিজে ভোট না করে বিএনপির প্রার্থী মিজানকে সমর্থন দিয়ে পাশ করার জন্য মিলিত হয়ে ছিলেন।
এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ফেল করাতে মেয়র গোলাম রাব্বানীর ভাই শরিফুল ইসলামের ওয়াকার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে ভোট করতে নামমাত্র তার ছোট ভাইকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী করে মাঠে দাঁড় করিয়েছিলেন। অথচ আবার ইমরুল হক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে তানোর পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী হিসাবে নমিনেশন দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের কাছে। এতে করে তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে বার বার নৌকার বিরোধিতা করায় এবার চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকরা।
এমনকি যদি এবার প্রকার্শে ইমরুল হক নৌকার বিরোধিতা করে তাহলে মাঠেই তাকে উচিৎ জবাব দিবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকরা বলেও গুঞ্জন বইছে। তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, সারাজীবন রাব্বানী ইমরুল এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে সুবিধা নিয়ে দলের উন্নয়নের নামে নিজের আখের গুছিয়েছে। তাঁরা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনকে কোনদিন চাঙ্গা করতে বা নেতাকর্মীদের শক্তিশালী করতে চায়নি। তাঁরা সবসময় চেয়েছে তানোরে যেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনদিন মাথা চাঁড়া দিয়ে না উঠতে পারে। সারাজীবন যেন নেতাকর্মীরা তাদের গোলামী করে সেটাই চেয়েছেন।
কিন্তু তাঁরা জানেনা এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তাদের রাজনীতি ধরে ফেলেছে, তাইতো রাব্বানী ইমরুলরা এখন সুযোগ সুবিধা না পেয়ে এমপি বিরোধী নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ঢংশো করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পড়ে লেগেছে। তবে ইমরুল হক এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্ব.বা/বা