প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় সংসদে থাকা বিরোধী দলগুলো চাইলে নির্বাচনকালীন সরকার হবে, না চাইলে হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সোমবার বিকেলে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফর সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন- ‘গত নির্বাচনের আগে আমরা সব দলকে সাথে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমাদের আহ্বান সত্ত্বেও তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি সাড়া দেয়নি। এবার নির্বাচনকালীন সরকার দরকার আছে কি-না, সেটা সময় হলে দেখা যাবে।’
নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট হবে কি-না বা হলে কেমন হবে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন- ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ছোট মন্ত্রিসভা ও তখনকার বিরোধী দলকে নিয়ে সব দলের সরকার গঠনের কথা বলেছিলাম। এখন এটা দরকার আছে কি-না দেখা যাবে। কাকে বাদ দিয়ে যে মন্ত্রিসভা ছোট করবো সেটা খুঁজে পাচ্ছি না। বড় থাকলে কি সমস্যা আছে?’
মন্ত্রিসভার আকার ছোট করতে সমস্যা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন- ‘এরই মধ্যে আমরা এত প্রকল্প পাস করেছি, সেসব কাজ শেষ করা দরকার। এখন কয়েকটি মন্ত্রণালয় একজনের হাতে দিলে তিনি পারবেন কি-না, দুই-তিন মাসের মধ্যে আমাদের অনেকগুলো কাজ করতে হবে। এখন কাজগুলো করতে গেলে কাউকে সরিয়ে দিলে কাজগুলো ব্যাহত হবে কিনা, এ সমস্যাটা রয়ে গেছে। আমি কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে চাই এবং সবাই যার যার মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো করছে।’
বিশ্বের অন্যান্য দেশে নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা ছোট করা হয় না জানিয়ে তিনি বলেন- ‘নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ইত্যাদি দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে। আমি ওইসব দেশের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তো কোনও পরিবর্তন করে না। তারা তো বলেছে, তেমনটা করার তো কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। এখন দেখা যাক… অপজিশন যদি চায় তখন করবো। আর না চাইলে কিছু করার নেই।’
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে গত মঙ্গলবার চারদিনের সফরে সৌদি আরব যান প্রধানমন্ত্রী। সফরে তিনি সৌদি আরবের বাদশাহর পাশাপাশি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া রিয়াদের কূটনৈতিক এলাকায় নিজস্ব জমিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন এবং জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।