বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, অতিরিক্ত মূল্য আদায় ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। রমজানের দ্বিতীয় দিন বুধবার ও প্রথমদিন মঙ্গলবার উপজেলা সহকারি কমশিনার (ভূমি) ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আলপনা ইয়াসমিন এই অভিযান পরিচালনা করেন।
ম্যাজিষ্ট্রেট আলপনা ইয়াসমিন বলেন, পবিত্র রমজান মাসকে টার্গেট করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ক্রেতাদের ঠকাতে অনেকেই মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়। কিছু ব্যবসায়ী ব্যাপক চাহিদাকে পুজি করে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রিতে মেতে উঠে। সৌদি আরব বা বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়েছে মর্মে ভেজাল খেজুর গুলো বিক্রি করে মুনাফা লুটে নিচ্ছে কিছু ব্যবসায়ী। আকর্ষণীয় প্যাকেটে ভেজাল খেজুর বিক্রির রমরমা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে এই রমজান মাসে। এমন কিছু প্রতারণা হাতেনাতে ধরা পড়েছে। রমজানে খেজুরের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভেজাল খেজুর গুলো কৌশলে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এসব খেজুরের আকর্ষণী প্যাকেটে নেই কোনো পন্যের মেয়াদও।
দীর্ঘদিন আগের প্যাকেটজাত করা খেজুরে লাগানো হয়েছে প্রতারণামূলক স্টীকারও। যা সহজেই বুঝতে পারে না ক্রেতারা। দুইদিন উপজেলার বাঘা বাজার ও মনিগ্রাম বাজার এলাকায় প্রায় দশটির অধিক ব্যবসায়ীদের দোকানে অভিযান চালানো হয়েছে। এদের মধ্যে উপজেলার ৩টি দোকানদারকে ৪ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাঘা বাজরে ১জন ও মনিগ্রাম বাজারে ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে স্যানেটারি অফিসার আব্দুল হান্নান ও আনসার ব্যাটেলিয়নসহ পুলিশ উপস্থিত ছিল।
বাঘা বাজারের মোতালেব স্টোরের মালিক মনিরুল ইসলাম বলেন, যেভাবে কিনেছি সেইভাবে বিক্রি করি। নিজেরা কোন পরিবর্তন করিনা। তারপরও আইনী প্রক্রিয়ায় রশিদের মাধ্যমে জরিমানা দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহিন রেজা বলেন, খেজুর ব্যবসায়ী ছাড়াও ফুটপাতে ইফতার সামগ্রী বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। একই সাথে জরিমানাও করা হয়েছে। অভিযানে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা না করার জন্য হুশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। পবিত্র রমজান উপলক্ষে রোজাদারদের জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা যেন ফায়দা লুটতে না পারে সে ব্যাপারে তৎপর রয়েছি। পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহি অফিসার।