রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডকে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে রাসিক মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান

গণমাধ্যম লীড

নিজেস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদের দূর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার দাবিতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪ টায় রাসিক মেয়রের কার্যালয়ে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপি প্রদান হয়।

এ সময় সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, রাজশাহী প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, জাতীয় পার্টির মহানগর সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মিন্টু, রাজশাহী প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক নূরে ইসলাম মিলন, যুবনেতা আসাদুল হক দুখু, সাংবাদিক আসলাম লিটন, উপচার এহেসান হাবিব, শামসুল আলম, ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারই সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রাজশাহীর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই তা দৃশ্যমান হলেও রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এর বিপরীত চিত্র সমগ্র উত্তরাঞ্চলের মানুষকে হতাশ করেছে। এরমধ্যে ছয় তলাবিশিষ্ট শিক্ষাবোর্ড ভবনে লিফট স্থাপনের টাকা বর্তমান চেয়ারম্যানের অবহেলার কারণে তিন তিনবার ফেরত গেছে। যার বলি হয়েছেন দেশের প্রবীণ নাগরিক একজন সন্মানিত প্রধান শিক্ষক। প্রতিনিয়ত শিক্ষকরা তার দ্বারা অসন্মান-অমর্যাদার শিকার হচ্ছেন। অফিস চলাকালে ঘন্টার পর ঘন্টা ইজিচেয়ারে বর্তমান চেয়ারম্যানের ঘুমানোর কথা এখন ওপেন সিক্রেট। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তার সাথে সমস্যা নিয়ে দেখা করতে চাইলে তিনি তাদের গেট থেকেই ফিরিয়ে দেন। সবার সাথেই তিনি দুর্ব্যবহার করেন। মাসের ৩০ দিনের মধ্যে ২৫ দিনই অফিস করেন না।

সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কোন সরকারী কর্মকর্তা ৩ বছরের অধিক সময় ডেপুটেশনে থাকতে পারেন না। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান সাড়ে ৪ বছরের অধিক সময় ধরে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ডেপুটেশনে আছেন। তার বিরুদ্ধে সাড়ে ৪ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। ওই তদন্তও অজানা কারণে ৮ মাস ধরে থেমে আছে।

ওই স্মারকলিপতে আরো বলা হয়, শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদের পরিবারটির আদি নিবাস পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায়। তার দুই ভাই, শ্বাশুড়ি ও ভায়রা জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ আছে। তার দুইভাই দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর কট্টর অনুসারী, শ্বাশুড়ি রোকন, ভায়রা এ্যাডভোকেট এজাজ জয়পুরহাট বারের সদস্য ও জামায়াতের রোকন বলে জানা গেছে। শুধু তাই বোর্ড চেয়ারম্যান বিএনপি-জামাত জোট সরকারের মন্ত্রী যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর ডিও লেটার নিয়ে খুলনা সুন্দরবন কলেজ থেকে রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগে বদলি হয়ে আসেন। এমন ব্যক্তি রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করায় অত্র অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজন তার দ্বারা প্রতিনিয়ত অপমানিত-লাঞ্ছিত হচ্ছেন। যা বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণœ করছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *