মাদারীপুরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক:  আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সাহেববাজারে এ ঘটনা ঘটে।

অগ্নিদগ্ধরা হলেন— মাহবুবুর রহমান, এসকান বেপারি, কাউসার বেপারি, আ. রাজ্জাক মাদবর, ওবায়দুল বেপারিসহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শিবচরের কুতুবপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মাদবর ও সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বেপারির মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল।

করোনা সংক্রমণের কারণে স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়নে আতিকুর রহমান মাদবর ও মনোয়ার হোসেন বেপারি দুজনেই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

শনিবার সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের আকনকান্দি গ্রামের একটি রাস্তায় আতিক মাদবরের সমর্থক মিরাজ আকন ও মনোয়ার বেপারির সমর্থক তুষার বেপারির সঙ্গে ইউপি নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

কথা কাটাকাটির একপর্যায় তুষার বেপারি মিরাজ আকনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কুতুবপুর বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মনোয়ার বেপারির সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য আ. সালাম মাদবরকে তার দোকানে ঢুকে আতিক মাদবরের সমর্থক কাউসার বেপারিসহ কয়েকজন মিলে মারধর করে।

এরই জের ধরে রাত ৮টার দিকে সাহেববাজারে আতিক মাদবরের সমর্থক দুলাল বেপারির একটি মার্কেটে মনোয়ার বেপারির ছোটভাই মানজার বেপারির নেতৃত্বে ভাঙচুর চালানো হয়।

এ সময় দুলাল বেপারিসহ আতিক মাদবরের সমর্থকরা মার্কেটের সামনে জড়ো হলে নিজ বাড়ির ছাদ থেকে তাদের লক্ষ্য করে মানজার বেপারির নেতৃত্বে গুলি ছোড়া হয়।

এ সময় মাহবুবুর রহমান, এসকান বেপারি, কাউসার বেপারি, আ. রাজ্জাক মাদবর, ওবায়দুল বেপারিসহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়।

এ ছাড়া সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

বাকি আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ার হোসেন বেপারি, শাহাদাৎ বেপারি, কাদির বেপারি, আলমগীর বেপারিসহ চারজনকে আটক করেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. এমদাদুল হক রাসেল বলেন, রাতে সংঘর্ষে আহত কয়েকজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সাত রোগী গুলিবিদ্ধ ছিল। আহতদের চিকিৎসা চলছে।

শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজুল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *