সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা: আসামি মানিক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক:  রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি মানিক তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোরে মিরপুরের রূপনগরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনি মারা যান।

পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি যুগান্তরকে বলেন, আজ ভোরের দিকে র্যা বের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক নিহত হয়েছেন।

ওসি বলেন, মানিকের নামে থানায় একাধিক মামলা আছে। তিন মাস আগেও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন।

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পল্লবীর বুড়িরটেকের বাসিন্দা সাহিনুদ্দিনকে গত রোববার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তার সন্তানের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পর দিন এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম পল্লবী থানায় ২০ জনের নামে মামলা করেন।

মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ আউয়ালসহ এ পর্যন্ত পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছেন।

গত ৭ ডিসেম্বর যুগান্তরে ‘পল্লবীতে ভয়ঙ্কর সুমন বাহিনী/প্রতিবাদ করলেই কুপিয়ে জখম’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হয়েছিল।  ওই সময় এক মাসের ব্যবধানে সুমন বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়।  কিন্তু তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠে এই বাহিনী।

অন্যদিকে বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে। সর্বশেষ ১১ মে আকলিমা পল্লবী থানায় সুমন বাহিনীর সুমনসহ ছয়জনকে আসামি করে জিডি করেন।

জিডিতে সুমন ছাড়া আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে হ্যাভেলি প্রপার্টিজের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক এমপি এমএ আউয়ালও আছেন। জিডিতে আকলিমা আশঙ্কা করেন, যে কোনো সময় তার ছেলে সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করা হতে পারে। এই আশঙ্কার পাঁচ দিনের মাথায় রোববার প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সুমন বাহিনীর সদস্য মনির ও মানিক রামদা দিয়ে সাহিনুদ্দিনকে একের পর এক কুপিয়ে যাচ্ছেন। আশপাশ থেকে ভেসে আসছে চিৎকার-কান্না।

মাটিতে লুটিয়ে ছটফট করতে করতে বাঁচার আকুতি জানান সাহিনুদ্দিন।  সাহিনের হাত-পা, গলা, মুখ, পেট, ঊরু, মাথা, হাঁটুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাতাড়ি কোপানো হয়।

কিছুক্ষণ কুপিয়ে মানিক চলে গেলেও মনির কুপিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে গলায় কুপিয়ে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করার পর স্থানত্যাগ করেন মনির।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *