স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি গ্রামে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। দেখতে দেখতে হারিয়ে যাচ্ছে নিমতলা গ্রামটি।
ইতোমধ্যে গ্রামটির অর্ধশতাধিক বাড়ি এবং কৃষিজমিসহ আম ও লিচু বাগান পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। এছাড়া একটি প্রাথমিক স্কুল এবং একটি মন্দির পদ্মারপাড় থেকে মাত্র ১৫-২০ গজ দূরে রয়েছে। স্কুল এবং মন্দিরটিও যেকোনো সময় নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, গ্রামটির গোলাম রসুল নামের একজন ব্যক্তির পাকা বাড়ির অর্ধেকের বেশি নদীতে নেমে গেছে। এছাড়া একই গ্রামের হাফিজুর রহমান, আমজাদ আলী এবং সেন্টু রহমানের বাড়িসহ এলাকার অর্ধশতাধিক বাড়ি ইতোমধ্যে পদ্মায় তলিয়ে গেছে। একইভাবে এলাকার প্রায় শত বিঘা আম ও লিচু বাগান এখন পদ্মার পানির নিচে।
নিমতলা গ্রামের গোলাম রসুল নামের একজন ব্যক্তি জানান, এর আগে ১৯৯২ সালে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন হয়েছে। এর ২৯ বছর পর এবারো একই রকম ভাঙনে এলাকার মানুষকে নিঃস্ব করে ফেলেছে। তার বাড়িসহ প্রায় ১০ বিঘার আম ও লিচু বাগান নদীগর্ভে নেমে গেছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), রাজশাহীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রিফাত করিম জানান, আকস্মিকভাবে নিমতলা গ্রামটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।