চোর সন্দেহে দু’জনকে ধরে এনে নির্যাতনের অভিযোগ রাজশাহীর কর্ণাহার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর মহানগরীর কর্ণাহার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে চোর সন্দেহে ধরে এনে দুইজনকে নির্যাতন চালিয়েছে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্ণহার থানাটি জেলার পবা উপজেলার বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত।

এ নিয়ে শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ করতে থাকে। পরে নগর পুলিশের কাশিয়াডাঙ্গা জোনের উপপুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর পর চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় নির্যাতনের শিকার কাউসার আলী ও আক্তার কশাই নামের দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বোরজাহান নামের অপর এক ব্যক্তিকে আটকে রাখা হয়।

এদিকে নিরাপরাধ কাওসার আলী ও আক্তার হোসেন ওরফে আক্তার কশাইকে ধরে এনে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, পবা উপজেলার দারুশা পশ্চিমপাড়া এলাকার পলাশের বাড়ি থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে তিনি থানায় একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী নগরীর কর্ণাহার থানার এসআই সাইদুজ্জামান সকালে অভিযান চালিয়ে একই এলাকার ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কাওসার আলী, আক্তার হোসেন ওরফে আক্তার কশাই ও বোরজাহান ওরফে বরজু নামের তিন ব্যক্তি ধরে আনে। এরপর থানার ভিতরে তিনজনকেই বেদম পেটানো হয় স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য। এ খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মাঝে। পরে বিকেল চারটার দিকে এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করেন।

এদিকে থানা ঘেরাওয়ের কথা জানতে পেরে নগরী কাশিয়াডাঙ্গা জোনের উপপুলিশ কমিশনার জয়নাল আবেদীন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে সন্ধ্যার দিকে কাওসার ও আক্তার হোসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আটকে রাখা হয় বোরজাহানকে।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও স্থানীয় বাসিন্দা ডাবলু সরকার অভিযোগ করেন, পুলিশ নিরাপরাধ দুই ব্যক্তিকে ধরে এনে নির্যাতন করেছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে এর আগে কখনো এই ধরনের কোনো অভিযোগ ছিল না। অভিযোগ যাচাই-বাছাই না করেই সাধারণ মানুষকে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

কর্ণাহার থানার ওসি সেলিম বাদশা বলেন, ‘তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে কাউকে নির্যাতন করা হয়নি। পরে দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *