স্বদেশবাণী ডেস্ক: পাঁচ বছর জেল খেটেছেন ইরানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী নাজানিন জাঘারি-র্যাটক্লিফ। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে ফের তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। তবে কোনো শুনানি ছাড়াই তার আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে ২০১৬ সালে নাজানিনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই কারাদণ্ডের মেয়াদ গত মার্চে শেষ হয়। এরপর এপ্রিলে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ তুলে দ্বিতীয় দফায় আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
তবে প্রথম মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের মধ্যে শেষের এক বছর প্যারোলে মা-বাবার সঙ্গে ছিলেন নাজানিন। দ্বিতীয় মেয়াদের সাজা কাটাতে তাকে আবার কারাগারে ফিরতে হতে পারে বলে উদ্বেগে দিন কাটছে পরিবারের।
নাজানিনের স্বামী রিচার্ড র্যাটক্লিফ বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কখন তলব করা হবে তার স্ত্রী এই দুশ্চিন্তায় আছেন। জেলে ফেরার কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন তিনি। আপিল আবেদন খারিজ হওয়ার দিন তিনি বেশ কয়েকবার মেয়েকে ফোন করেছেন। তার আশঙ্কা, তার কারাগারে ফিরে না যাওয়ার বিকল্প নেই।
২০১৬ সালের পর থেকে নাজানিন ও স্বামী র্যাটক্লিফের মুখোমুখি দেখা হয়নি। নাজানিনের গ্রেফতারের সময় মেয়ে গ্যাব্রিয়েলা তেহরানে মায়ের সঙ্গেই ছিল। ২০১৯ সাল থেকে বাবার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে থাকছে সে।
গ্রেফতারের সময় নাজানিন দাতব্য সংস্থা থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইরানি নববর্ষ উlযাপন ও মা-বাবাকে দেখতে মেয়েকে নিয়ে তেহরান যাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ইরানি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তেহরানে সরকার উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত নাজানিন। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড অভিযোগ তোলে, তেহরানে বেড়াতে আসার নামে একটি বিদেশি মদদপুষ্ট শত্রু নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এ ত্রাণকর্মী।
ইরানের কারাগারে নাজানিনের মতো পশ্চিমা দেশের অনেক পাসপোর্টধারী বন্দি আছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, বিদেশি শক্তিগুলোর সঙ্গে নানা ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকতে ইরান সরকার এ রকম জিম্মি নীতি গ্রহণ করেছে।