‘বিজেপি করলে টালিগঞ্জে কাজ পাওয়া যায় না’

আন্তর্জাতিক

স্বদেশবাণী ডেস্ক : নয় মাস বিজেপির রাজনীতি করার পর অনেকটা হঠাৎ করেই দলটি ছেড়েছেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে নেটমাধ্যমে বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।

দল ছাড়ার কারণ হিসেবে শ্রাবন্তী উল্লেখ করেছেন, রাজ্যের প্রকৃত উন্নয়নের স্বার্থে গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে না বিজেপি। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বিজেপি করলে টালিগঞ্জে কাজ পাওয়া যায় না। এ কারণেই শ্রাবন্তী দল ছাড়লেন।

বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রাবন্তীর বয়ান এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতির বয়ানের মধ্যে ফারাক আকাশ পাতাল। কিন্তু শ্রাবন্তী যে বিজেপি ছাড়ছেন, তার কি কোনও ইঙ্গিত ছিল?

সত্যিই কি তার কাজ পেতে সমস্যা হচ্ছিল রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য? সেই প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া গেলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত আচমকা নেয়া নয়।

গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র গিয়েছিল বিজেপি নেত্রী শ্রাবন্তীর কাছে। ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় বিজয়া সম্মেলনীতে উপস্থিত থাকতে না পারলেও তার কাছে আমন্ত্রণপত্র যাওয়াকে রাজনৈতিকভাবে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

তখন তার অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল এ নিয়ে যে, তিনি বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা না করে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আসতে চান না। যদিও এ বিষয়ে শ্রাবন্তী নিজে কোনও মন্তব্য করেননি।

বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপি ছাড়ার পর আরও একটি জল্পনা তৈরি হয়েছে। সে জল্পনাটি হল, পদ্ম ছেড়ে শ্রাবন্তীর নতুন গন্তব্য কি জোড়াফুল? দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে যে টুইট তিনি করেছেন, তাতে বিজেপিকে বাংলার উন্নয়নের প্রশ্নে দোষ দেয়ার পর সেই জল্পনা আরও বেড়ে গেল।

শ্রাবন্তীর দল ছাড়া নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘শ্রাবন্তী স্বেচ্ছায় এসেছিলেন। আবার স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন। তার বিজেপি ত্যাগে দলের কোনও সমস্যা হবে না।’

এ প্রেক্ষিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে আরও একটি ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নেটমাধ্যমে শ্রাবন্তীর নিজের সব অ্যাকাউন্টে আগে পোস্ট করা বিজেপিতে যোগ দেয়ার কিংবা প্রচারের বিভিন্ন ছবি উধাও।

এতোদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, অমিত মালবীয়দের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা তুলে নেয়ার ছবি জ্বলজ্বল করত শ্রাবন্তীর একাধিক নেটমাধ্যম অ্যাকাউন্টে। কিন্তু রাতারাতি সে সবই হাওয়া। তা হলে কি ভেবেচিন্তেই বিজেপি ছাড়লেন শ্রাবন্তী? আগামী দিনে কি তাকে তৃণমূলের মঞ্চে দেখা যেতে পারে?

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *