প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালাল দেবর

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: আশুলিয়ায় পরকীয়ার পর কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী মারুফা আক্তারকে (২৮) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়েছে হাসান মিয়া নামে এক যুবক। অভিযুক্ত ওই যুবক নিহত ওই নারীর দেবর বলে জানা গেছে।

বুধবার রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মারুফা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার জাটিবুনিয়া গ্রামের মো. মোস্তফার মেয়ে। মারুফার স্বামী মো. আল-আমিন কুয়েত প্রবাসী। মারুফা স্থানীয় শারমিন গ্রুপের একটি কারখানায় চাকরি করতেন। তার মারজানা (১২) নামে কন্যা ও ফাহিম (৬) নামে এক ছেলেসন্তান রয়েছে।

অভিযুক্ত পলাতক দেবরের নাম হাসান (৩০)। সে বরগুনা পাথরঘাটা থানার লেমুয়া গ্রামের জাকিরের ছেলে।

নিহত মারুফার ছোট্ট শিশু সন্তান ফাহিম যুগান্তরকে বলে, হাসান চাচ্চু প্রায়ই তাদের বাসায় আসত। চাচুর সঙ্গে আম্মুর সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বুধবার রাতে আম্মুর মোবাইল ফোন নিয়ে চাচুর সঙ্গে মারামারি হয়।

নিহত মারুফার ছেলে আরও বলে, তার বাবা আল আমিন কুয়েত প্রবাসী। পারিবারিক কলহের কারণে গেল ৫ মাস আগে চাকরির জন্য এই এলাকায় আসেন মা (মরুফা)। দুই মাস ধরে আমরা মামার বাসায় ছিলাম। তৃতীয় মাস থেকে আলাদা বাসা নেন মা। এর পর থেকেই বাবার মামাতো ভাই হাসান প্রায়ই বাসায় আসতেন। বুধবার রাতে চাচ্চু হাসানের সঙ্গে মায়ের মোবাইল কেন্দ্র করে মারামারি হয়। চাচ্চু তার মোবাইল নিয়ে চলে যায়। এর পরে লোকজনের চিৎকারে ঘুম থেকে উঠে মাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।

পাশের ঘরের ভাড়াটিয়ারা জানান, সকালে উঠে কাজে চলে যান তারা। কাজ থেকে ফিরে এসে দেখেন মারুফার ও তার ছেলের কোনো সারা শব্দ নেই। ঘরের দরজা খোলা। পরে বাসায় ঢুকে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় স্থানীয়দের ডেকে আশুলিয়া থানায় খবর দেন।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে— তাকে শ্বাসরোধ করে হত্য করা হয়েছে। অভিযুক্ত হাসানকে আটকের চেষ্টা চলছে। হাসানকে আটক করতে পারলেই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে।

আশুলিয়া থানার এসআই হাসিব জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যার রহস্য  জানা যাবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *