স্বদেশবাণী ডেস্ক: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদকে ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেওয়ায় ভিজিডি চালের কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গয়াছ আহমদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের বিভিন্ন খাদ্য কর্মসূচি চালু রয়েছে এই ইউনিয়নটিতে। ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে নগদ ৩০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল গ্রহণ করে থাকেন নির্দিষ্ট উপকারভোগীরা।
গত বৃহস্পতিবার জৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডদারীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হলেও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের তারিছ আলী, মছবিরসহ কয়েকজন উপকারভোগীকে চাল না দিয়ে তাদের কাছ থেকে ভিজিডি কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগের ঘটনায় জেলাজুড়েই ব্যা পক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের লাকেশ্বর গ্রামের দিনমজুর তারিছ আলী অভিযোগের সত্যকতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি গত নয় মাস ধরে ৩০০ টাকা দিয়ে ৩০ কেজি চাল পাচ্ছি। গত বৃহস্পতিবার আমার ছেলেকে টাকাসহ কার্ড দিয়ে পাঠালে কার্ড রেখে দেওয়া হয়। পরে আমার ছোট ছেলে কান্নাকাটি করে খালি হাতে বাড়ি ফিরে আসে। আমি দুইবার চেয়ারম্যানের কাছে গেছি। তিনি আমাকে কার্ড, চাল কোনোটিই দেননি।
তারিছ আলী অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে অনেকেই অনেকের পক্ষে ছিল। আমিও একটি পক্ষে ছিলাম। নির্বাচনে চেয়ারম্যানের বিরোধিতা করায় আমার পেটে লাথি দিয়েছেন। অনেকেরই কার্ড রেখে দিয়েছেন। আমরা গরিব মানুষ। এখন আমরা কী করব।
এ ব্যাাপারে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব মিথ্যা। চাল দেওয়া বাকি রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলে আমি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।