স্ত্রীর পরকীয়া সন্তানের নির্যাতনে দিনমজুরের আত্মহত্যা

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক:  ফেনীর পরশুরামে স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দফায় দফায় নির্যাতনের শিকার হন দিনমজুর চাঁনমিয়া (৪৫)। স্ত্রী ও সন্তানের নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোররাতে পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামে।

পুলিশ, স্থানীয় ইউপি সদ্য ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের রুনু আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থেকে।

গ্রামবাসী বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেও স্ত্রীকে সংশোধন করাতে পারেননি। একপর্যায়ে রুনু আক্তার, তার ভাই হিরা চাঁন, বোন লেদু আক্তার ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে চাঁন মিয়ার ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন। গ্রামবাসীর চাপে পড়ে রুনু আক্তার সন্তানদের নিয়ে চট্টগ্রামে অবস্থান শুরু করেন।

গ্রামবাসী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় চাঁন মিয়া ২য় বিয়ে করতে চাইলে স্ত্রী রুনু আক্তার চাঁন মিয়ার ঘরে অবস্থান নিয়ে গ্রামবাসীর কাছ থেকে বিভিন্ন কায়দায় প্রায় ৮ লাখ টাকা ধার নেন। সোমবার বিকালে ধারের টাকা পরিশোধের জন্য পূর্বের কায়দায় চাঁন মিয়ার ওপর নির্যাতন চালিয়ে বিকালে রুনু আক্তার সন্তানদের নিয়ে চট্টগ্রাম চলে যান।

রাত ৭টার দিকে চাঁন মিয়া স্ত্রী-সন্তান, পুলিশ ও গ্রামবাসীর ওপর অভিমান করে নিজ ঘরে বিষপান করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা হাসপাতাল ও পরে ফেনী সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে রাত ২টায় তার মৃত্যু হয়।

স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে রুনু আক্তার ফেনী সদর হাসপাতালে এসে স্বামীর লাশ দেখে বাড়িতে গিয়ে তার ভাই হিরা চাঁন মিয়া, আবুল কালাম ও ছেলে ফখরুলকে দিয়ে নিহত চাঁন মিয়ার ঘর ও তার সব আসবাবপত্র নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহিম।

ফেনী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা যুগান্তরকে জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। এ ঘটনায় এখন একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *