তানোরে সমাজসেবা কর্মকর্তা কর্মচারী হাতাহাতি বদলি টাকা চুরি

রাজশাহী লীড

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে সমাজ সেবা অফিসার মোহাম্মদ হোসেন খান ও কর্মচারী হালিমের মধ্যে হাতাহাতি ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। চলতি মাসের ০২ জুন বৃহস্পতিবার অফিসে ঘ টে মারপিটের ঘটনাটি। এখবর ছড়িয়ে পড়লে অফিস পাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে উভয়ের শাস্তি মুলুক ব্যবস্হার দাবি তুলেছেন। এছাড়াও সমাজ সেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজ কর্মী আরিফ এক উপকার ভোগীর মোবাইল থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা চুরি করে নেন। গত রোববার দুপুরের দিকে ঘটে এই ঘটনা। ফলে সমাজ সেবা অফিসে একের পর এক কান্ডে বইছে মালোচনার ঝড়।

জানা গেছে, চলতি মাসের গত বৃহস্পতিবার কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হোসেন খান মাঠ কর্মী আব্দুল হালিম ফাইলে ভুল করলে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। হালিম গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে কর্মকর্তা রেগে থাপ্পড় মারেন। শুরু হয় কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে মারপিট চলে হাতাহাতি এবং কর্মকর্তাকে মেরে মুখমণ্ডল ক্ষত করে দেয় হালিম। এঅবস্হায় অন্য কর্মচারীদের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়।

এঘটনায় সমাজ সেবা অফিসার হালিম কে বিবাদী করে থানায় জিডি করেন। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে দেখা যায় কর্মকর্তার ঘরে তালা মারা ও কর্মচারী হালিমও ছিলেন না। অফিসে ছিলেন রবিউল নামের অফিস সহকারী। তিনি জানান স্যার জেলা মিটিংয়ে আছেন, হালিমও আসেনি।

মারপিটের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান আমি কিছুই বলতে পারব না। সেখান থেকে কর্মচারী হালিমের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মারপিটের কথা শিকার করে জানান, স্যার আগে থেকেই অযথা খারাপ ভাষায় গালমন্দ করছিল, নিষেধ করা মাত্রই আমাকে চড় থাপ্পড় মারা শুরু করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে স্যারের মুখমন্ডল ক্ষত হয়ে রক্ত বের হওয়া শুরু করে। আপনি নাকি মেরে মুখমণ্ডল ক্ষত করেছেন জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, স্যার কে হালিম মেরে মুখমন্ডল রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। স্যার বকা দিলেই মারপিট হবে এটা কেমন আচরণ। উভয়ের শাস্তি হওয়া দরকার।

আর স্যার কোন মিটিংয়ে নেই, মুখমন্ডল ক্ষত এজন্য অফিসে আসেন নি।

এদিকে পাঁচন্দর ইউপির এক উপকার ভোগী মোবাইল নিয়ে গত রোববার ১২ টার দিকে সমাজ সেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজ কর্মী আরিফ কে দেখিয়ে বলে কত টাকা আছে মোবাইলে। ওই সময় আরিফ মোবাইল নিয়ে ১৫০০ টাকা চুরি করে উপকার ভোগীকে বলে মোবাইলে ১৫০০ টাকা আছে। ওই উপকার ভোগী টাকা তুলতে গিয়ে দোকানীকে জানান কত টাকা ছিল। দোকানদার বলেন আপনার মোবাইলে ৩০০০ টাকা ছিল। কিছুক্ষণ আগে ১৫০০ টাকা তুলেছেন। সাথে সাথে ওই উপকার ভোগী আরিফকে ধরলে অস্বীকার করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে সোমবার সকালের দিকে উপকার ভোগীর মোবাইলে ১৫০০ টাকা ফেরত দেন।

তিনি সোমবার অফিসে সকালে এসেই পালিয়ে যান। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার কথা শিকার করে জানান টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, সমাধান হয়ে গেছে, আপনি কি কারনে টাকা চুরি করেছেন প্রশ্ন করা হলে কোন উত্তর না দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি।

সমাজ সেবা অফিসার মোহাম্মাদ হোসেন খানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি শিকার করে বলেন এঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে, সাময়িক ভাবে বদলি হয়েছে । টাকা চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, রোববারে অফিসে ছিলাম না, আমাকে পাঁচন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোবাইলে অবহিত করেছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, এঘটনায় হালিমকে বদলি করা এবং থানায় তার বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছে।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *