স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) নগরীর ৩, ৪, ৫, ১২, ১৬ সহ ১০ টি ওয়ার্ডে পণ্য বিতরণের সময় ক্রেতারা পচন ধরা পেঁয়াজ নিতে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
টিসিবির দেয়া প্যাকেজ স্বল্পমূল্যে পেলেও পেঁয়াজ নিতে রাজি নন ক্রেতারা। পেঁয়াজের অবস্থা খুব একটা ভালো না । যদি পেঁয়াজ ছাড়া পন্য দেয়া হয় তাহলে ক্রেতারা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন।
ক্রেতারা জানায়, নিম্ন আয়ের মানুষ তারা। স্বল্পমূল্যে এতদিন সুবিধা ভোগ করেছেন। এতদিন কোথায় কিভাবে এই পেঁয়াজ মজুদ করেছিল যে, দেখভাল না করায় আজ পঁচা পেয়াজ বিতরণ করছেন?
পেঁয়াজ নেওয়াটা বাধ্যতামূলক। পেঁয়াজ না নিলে অন্য কোন পণ্য দিবেনা। ৪০ টাকা দিয়ে দুই কেজি পঁচা পেয়াজ নিয়ে কি করবো যদি বাসায় নিয়ে গিয়ে ফেলে দিতে হয় ? টাকা দিয়ে যদি পঁচা পেঁয়াজ কিনে নিয়ে গিয়ে সেটা যদি খাবার অযোগ্য হয়, তাহলে আমরা টিসিবি পন্য কেন নিতে আসবো।
এদিকে, একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ এক কেজি চিনি ও দুই কেজি করে তেল, মসুর ডাল এবং পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, তেল ১১০ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা ও পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এ বাজারে স্বল্পমূল্য টিসিবি পন্য পেয়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন অনেক ক্রেতারা।
ডিলাররা জানান, একটি পন্য বাদ রেখে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই বাধ্য হয়েই ক্রেতারা পেঁয়াজ নিয়ে আবার ফেলে দিচ্ছেন।
টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নগরীতেই শুধু পেঁয়াজ সংযোজন করা হয়েছে। উপজেলাগুলোতে পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছেনা। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ বারে রাজশাহীতে নগর ও জেলা মিলে প্রায় সোয়া দুই লাখ পরিবার এই সুবিধা পাচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে এসব পন্য নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও জেলার ৯টি উপজেলা বিতরণ করা হবে।
স্ব.বা/ম