স্বদেশ বাণী ডেস্ক: দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কমিটি গঠিত হওয়ার পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নীতিমালাটি প্রণয়নের নির্দেশনাও রয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের সভাপতিত্বে কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রকল্প ও অপারেশন প্ল্যান বাস্তবায়ন সম্পর্কিত এক সভায় এ নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে রাজধানীসহ সারা দেশে ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এসব মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনো নীতিমালা নেই। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি পদে নিয়োগের সময় ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, সচিব, সংসদ সদস্য ও চিকিৎসক নেতারা নিজেদের পছন্দের শিক্ষককে নিয়োগ দিতে সচেষ্ট হন। এসব কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপেক্ষাকৃত যোগ্যতাসম্পন্ন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা বঞ্চিত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগে একটি আইন রয়েছে। সেই আইন অনুসরণ করেই উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হয়। তবে যে কোনো রাজনৈতিক সরকারের সময় বিশেষ বিশেষ মেডিকেল কলেজে নিয়োগ সংক্রান্ত আইন সূক্ষ্মভাবে উপেক্ষা করা হয়। শুধু মেডিকেল কলেজের ক্ষেত্রেই নয়, সরকারি যে কোনো কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রেও জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার চেয়ে রাজনৈতিক প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহ গোলাম নবী যুগান্তরকে বলেন, অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগে কোনো নতুন নীতিমালা হচ্ছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এই দুটি পদে নিয়োগের জন্য একটি আইন রয়েছে। তারপরও যদি সরকার নীতিমালা প্রয়োজন মনে করে তাহলে করতেই পারে।
স্ব.বা/শা