ছাত্রলীগ নেতার হাতে থাকা স্পিড, প্রচার হলো মাদক !

রাজশাহী লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক : রাজশাহীর কাঁটাখালি বাজারে অবস্থিত পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু শামার কার্যালয়। প্রতিদিন সেখানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগনের যাতায়াত। রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি সহ ৭-৮ জন নেতাকর্মী সাংগঠনিক কাজে সেই অফিসে যায় অথচ যমুনা টেলিভিশনের একটি নিউজে একটি অস্পষ্ট ভিডিও ধারণ করে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি মাদক গ্রহণ করছেন বলে প্রচার করা হয়েছে।

এরপরই ভিডিও টির সত্যতা নিয়ে যোগাযোগ করা হয়। বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায় এটি কাঁটাখালি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু শামার কার্যালয়। তার ছোট ভাই জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিউল হক সানি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে সেই অফিসে নিয়ে যায়। সেই অফিসে বসে রাজনৈতিক আলাপচারিতা চলাকালে কোমল পানীয় স্পিড খায় জাকির হোসেন অমি সহ উপস্থিত নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে সেদিন সেই অফিসে থাকা একাধিক নেতাকর্মী স্পিড এর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাছাড়া সেটা এমনিতেই পাবলিক অফিস, সেখানে মাদক সেবনের কোন সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে কাটাখালি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু শামা জানান; আমার অফিসে কেউ কখনও একটা বিড়িও খায়নি, খাওয়ার সুযোগ নেই। মাদক তো দুরের কথা।

প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রচারিত ভিডিও বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জোরালোভাবে বলেন; এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে কেউ এডিট করে ভিডিও টি সাংবাদিকের কাছে দিয়েছে। আমার অফিসের সুনাম নষ্ট করতে বিকৃত করে ভিডিওটি বানানো হয়েছে।

সেদিন সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন অমি র সাথে থাকা দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ শাকিল খান ও মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারাও বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট ভিত্তিহীন বলেন।

তারা বলেন; অফিসের পাশে থাকা দোকান থেকে সেভেন আপ ও স্পিড কেনা হয়। ভিডিও টি দেখে তারা দুজনেই হতবাক হয়ে যায়। সেই অফিস একজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার। অফিসে মাদকের বিষয় একবারে বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক।

শাকিল খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন; স্পিড খাওয়ার ভিডিও তুলে সেটাকে রহস্যময় করতে সবধরনের টেকনিক অবলম্বন করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা৷ সেখানে আরো অনেকেই ছিলো, যেভাবে একটা অফিসে লোকজন থাকে। সেখানে ফেনসিডিল কোথা থেকে আসবে? আর ঐ পাবলিক প্লেসে খাবে? এটা আষাঢ়ে গল্পের মতো।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়; জেলা ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পরপরই কমিটিতে থাকা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে একজন ভারপ্রাপ্ত হওয়ার স্বপ্নে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমির বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

বর্তমানে সেই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঢাকায় অবস্থান করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে যাতে জাকির হোসেন অমি কে বহিষ্কার করে তাকে যেন ভারপ্রাপ্ত করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে চরম গ্রুপিংয়ের কারনে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ পাচ্ছে বলে জানান একাধিক নেতাকর্মী।

জানা যায়; প্রকাশিত ভিডিও টি প্রায় ৪-৫ মাস আগের। গত এক সপ্তাহ আগে থেকে জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই তিন জন নেতা রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিকদের কাছে ভিডিওটা দিয়ে আসে। ভিডিওটি পাবলিস করার জন্য কয়েকজন সাংবাদিককে টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু ভিডিওটা রহস্যময় ও অস্পস্ট হওয়ায় রাজশাহীর কোন সাংবাদিক এটাকে গুরুত্ব দেননি।

কিন্তু আজ হঠাৎ করে সকালে সেই নিউজটি প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন, সেখানে রিপোর্টার হিসেবে নাম বলা হয় আমিন বাবুর। রাজশাহী জেলার কেউ না করলেও বিশেষ তদবির করে ঢাকা থেকে করানো হয়।

এবিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি বলেন; রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য মানুষ এত নীচে নামতে পারে তা কল্পনা করতে পারিনা। নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলার সময় স্পিড-কোক খাওয়া কে বিকৃত করে মাদক বানানো হচ্ছে।

সাংবাদিক ভাইদের কাছে কিছু অনুপ্রবেশকারী ছাত্রলীগ নামধারীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। এদের চিহ্নিত করে অচিরেই সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন তাই জামাত শিবির বিএনপির এজেন্টরা তৎপর ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে।

সূত্র : অনাকান্তির কন্ঠ

স্ব.বা/ম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *