তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে ভিপি সম্পত্তির রায় পাওয়ার পরও প্রভাবশালীর নিকট হতে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আদালতের রায়কে অমান্য করে আসাদুজ্জামান পাইলট নামের ব্যক্তিকে ওই জমি লিজ দিতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন ভুমি অফিসের নাজির সাহিনুর রহমান বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন(ইউপির) মাদারিপুর গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনাটি। জমি রক্ষার জন্য অসহায় কৃষক লতিফ দিংরা আদালতের যাবতীয় কাগজসহ কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু দামি এই জায়গা দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন নাজির বলেও ভুক্তভোগীদের দাবি।
তারা জানান, জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, এবং রায় পেয়েছি আমরা। কিন্তু যে কোন মারফতে জানতে পারি প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী মাদারিপুরগ্রামের মৃত আফতাব মাস্টারের পুত্র আসাদুজ্জামান পাইলট যে কোন মুল্যে জায়গাটি লীজ নিতে চায়। এজন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আর তাকে সকল ধরনের সহযোগিতা করছেন নাজির সাহিনুর। অভিযোগের সাথে আদালতের রায়ের কপি, দলিল, অবহিত করনসহ যাবতীয় কাগজের সাথে এসিল্যান্ড বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে নাজিরের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন জমি পাবেন না, তাতে হাইকোর্টের অর্ডার নিতে হলেও নেওয়া হবে। আমরা অভিযোগ দিলাম, নিয়ম অনুযায়ী উভয়পক্ষকে নৌটিশের মাধ্যমে ডেকে যার যে কাগজপত্র আছে দেখবেন বা শুনানি করবেন। নচেৎ তিনি মরিয়া হয়ে পড়েছেন।
১৫০৯ নম্বর স্বারকে অভিযোগে উল্লেখ, উপজেলার মাদারিপুর গ্রামের জমসেদপুর মোজায় অবস্থিত আরএস ২৫ নম্বর খতিয়ানে ৩৬ নম্বর আরএস দাগে ১৭ শতাংশ জমি রয়েছে। তফসীলের জমিটি নিয়ে সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান এবং অভিযোগ কারীদের পক্ষে রায় রয়েছে। চলমান মামলার ইনফরমেশন শীপসহ রায়ের কপিযুক্ত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষ মৃত আফতাব মাস্টারের পক্ষে ছেলে আসাদুজ্জামান পাইলট।
গত ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে মাদারিপুর প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন গ্রামীণ পাকা রাস্তার দক্ষিনে পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জমিটি। সিমেন্টের ছোট খুটি ও তার দিয়ে ঘেরা আছে। বেশকিছু গাছ কাটা আছে, মনে হলো দীর্ঘ দিনের। সেখানে কয়েকটি চা স্টল রয়েছে। প্রবীন কিছু ব্যক্তিসহ নুরুল ইসলাম নামের এক মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। তারা সবাই বলেন জায়গাটির লতিফেরা মালিক। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পাইলট জুলুম করছেন। জায়গাটি নিয়ে আরেক জমির সাথে বিনিময় করেছিল পাইলটের পিতা। কিন্তু ওই জমিও জালিয়াতি করে বিক্রি করে পাইলটরা আবার এই জায়গাও নিতে চায়। এটা অমানুবিক।
ভুমি অফিসের নাজির সাহিনুরের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের দলিলের সমস্যা। আদালতে মামলা চলমান কিভাবে আপনি দলিলের সমস্যার কথা বলছেন প্রশ্ন করা হলে ব্যাস্ত আছি বলে এড়িয়ে যান।
আসাদুজ্জামান পাইলট অভিযোগ অস্বীকার করে জানান জায়গাটি আমাদের, তারা অযথা আমাদের মান ক্ষুন্ন করছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি আদিবা সিফাতের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্ব.বা/বা