খুলনার কয়রায় সুন্দরবন কোয়ালিশন সংগঠনের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ 

জাতীয়
খুলনা সংবাদদাতা: খুলনা জেলার উপকূলীয় কয়রায় এনজিও সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) এর সুন্দরবন কোয়ালিশন প্রকল্পে নিয়োগে নিয়মনীতি তোয়াক্বা না করে  ও অর্থের বিনিময়ে কর্মী নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্বজন প্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের মাধ্যমে পরে চাকরি না হওয়ায় কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রা গ্রামের বাসিন্দা আবু আব্দুল্লাহ নামে একজন তরুণ কয়রা ইউনিয়ন পরিষদে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর নারী ও শিশু সংগঠনের সভানেত্রী মুর্শিদা খাতুন ও তার ঘর জামাতা রিয়াজুল ইসলামের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়,সিএনআরএস এর সুন্দরবন কোয়ালিশনের নারী ও শিশু সংগঠনের প্রোগাম অফিসার হিসেবে নিয়োগের জন্য সভানেত্রী মুর্শিদা খাতুন ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে  চাকরি দেওয়ার নাম করে নগদে ৩৫ হাজার টাকা নেন এবং বাকি টাকা মাসিক বেতন থেকে কর্তন করার কথা ছিল।কিন্তু তার জামাতা রিয়াজুল ইসলাম আরেক প্রার্থীর থেকে বেশি টাকা নিয়ে তাকে বাদ দিয়ে দেয়।বিষয়টি তিনি জানতে পেরে মুর্শিদা খাতুনের কাছে চাকরির নিয়োগ পত্র অথবা তার দেওয়া টাকা ফেরত দাবি করেন।
সরেজমিনে নারী ও শিশু সংগঠনের অফিসের খোঁজে ২নং কয়রা গ্রামে মুর্শিদা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তারঁ বসত ঘরের একটি রুম অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় নারী জানান, মুর্শিদা খাতুন গ্রামের বিভিন্ন লোকের নাম দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা নিয়ে নিজে নিয়ে নেন এবং এমন কাজ এর আগেও করেছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবু আব্দুল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, প্রোগাম অফিসার পদে চাকরি দেওয়ার জন্য তাকে পূর্বের চাকরি হতে অব্যহতি গ্রহন করিয়ে  প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়  কিন্তু তাঁর ও তাহার জামাতার দ্বন্দ্বের কারণে আমাকে নিচ্ছে না। তিনি আরো বলেন আমি অভিযোগ না তুলে নিলে নারী ও শিশু সংগঠনের সভানেত্রী  মুর্শিদা খাতুন আমার নামে নারী নির্যাতনের মামলা করার ও আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ।আমি বর্তমানে ভয়ে আছি।
এ বিষয়ে  মুর্শিদা খাতুন মুঠোফোনে জানান,বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ডিসি অফিসে যাচ্ছি, আপনি তাকে জানিয়ে দিন, আমি এসে তাকে সারাজীবন জেলে থাকার ব্যবস্থা করবো। আমি ও আমার পরিবার এলাকার সন্মানিত ব্যক্তি হওয়ার ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন মিথ্যা দোষারোপ করছে।
সিএনআরএস সুন্দরবন কোয়ালিশনের কয়রার দায়িক্তে থাকা আব্দুল মালেক মুঠোফোনে জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না, তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন। তিনি আরো বলেন উক্ত সংগঠনের সাথে এখনো আমাদের কোন চুক্তি হয়নি। অন্যান্য সংগঠনের মতো উক্ত সংগঠন কার্য পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে কয়রা উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা রেশমা আক্তার মুঠোফোনে বলেন,উক্ত নারী ও শিশু সংগঠনটি মহিলা অধিদপ্তরের অধীনস্থ। তিনি অভিযোগের ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। তিনি আরো বলেন উক্ত নারী সভানেত্রীকে যতদুর চিনি তিনি এমন কাজ করতে পারেন না।
এ ব্যাপারে জানতে কয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম বাহারুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য যে,ভবিষ্যতে উপকূলের যেকোন দূর্যোগ মোকাবেলায় সংগঠনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দ্রুত সাড়াদান কাজে স্টার্ট ফান্ড ও শেয়ার ট্রাস্টের অর্থয়ানে সংগঠনগুলো সুন্দরবন ঐক্যের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করতে বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ১৬ টি সংগঠন ৪ টি এনজিও সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে যেখানে কয়রাতে দায়িক্তে আছেন সিএনআরএস।
স্ব.বা/রু
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *