হঠাৎ বাস বন্ধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ!

রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধি: বাঘা-রাজশাহী রুটে বাঘা পৌর টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া রাজশাহীগামী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। দাপ্তরিক কাজে বা জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজনকে বাস না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় সিএনজি(খ্রিহুইলার) কিংবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যেতে হয়েছে। রোববার(২৯-০১-২০২৩) এ দৃশ্য দেখা গেছে রাজশাহীর বাঘায়।

জানা যায়, রোববার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার জন্য এখানকার সব বাস ভাড়া দেওয়া হয়েছে। যার কারনে সকাল থেকেই বাঘা-রাজশাহী রুটে যাত্রীবাহী কোন বাস চলাচল করেনি। ফাঁকা ছিল টার্মিনিাল। বিকেল ৩টার পরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বেলা ১১টার দিকে বাঘা পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাঘা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী বাস চলছে না। সেখানে কথা হয় কুষ্টিয়ার স¤্রাট নামের একজনের সাথে। তিনি জানান, স্ত্রীকে নিয়ে রাজশাহী যাওয়ার জন্য টার্মিনালে এসেছিলেন। বাস বন্ধ থাকায় সিএনজি(খ্রিহুইলার) কিংবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাবেন বলে জানান। দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌর এলাকার বঙ্গবন্ধু চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, বাস না পেয়ে স¤্রাটের মতো অনেকেই সিএনজি(খ্রিহুইলার) কিংবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাচ্ছেন। এখানে দেখা হয় রাজশাহী নিবাসি উম্মে জয়নব নামের এক নারির সাথে। তার শ্বশুরবাড়ি বাঘার খানপুর গ্রাম থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে নিজ বাড়ি রাজশাহী যাবেন। তিনি জানান, শ্বশুর বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে এখানে পৌঁছে দেখেন বাস বন্ধ। অথচ গণপরিবহন বন্ধ থাকবে এমন কোনো পূর্বঘোষণা ছিল না। নিরুপায় হয়ে সিএনজি(খ্রিহুইলার)তে যাচ্ছেন। শুধু তারাই নন,বাস না চলায় তাদের মতো চরম দুর্ভোগে পড়েন এই রুটের যাত্রীরা। এসব যাত্রীরা পরে জানেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে যাতায়াতের জন্য এখানকার সব বাসই ভাড়া দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ ।

বাস-শ্রমিক সমিতির বাঘা শাখার সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাঘা-রাজশাহী রুটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহি বাস চলাচল করে। রোববার রাজশাহীর সমাবেশে যাওয়ার কয়েকদিন আগেই বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী সব বাস ভাড়া নিয়েছে। বাঘার বাইরে থেকেও অনেক বাস ভাড়ায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান আব্দুর কুদ্দুস।

সিএনজি চালকরা জানান,বাঘা থেকে রাজশাহী যেতে বাস ভাড়া লাগে ১০০ টাকা। বাঘা থেকে বানেশ্বর পর্যন্ত সিএনজিতে ভাড়া লাগে ৭০ টাকা। সিএনজি চালক কবির হোসেন ও মেহেদি হাসান জানান, আগের ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছেন। বাস চলছে না বলে অতিরিক্ত কোন ভাড়া নিচ্ছেন না।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জানান,সমাবেশে যাওয়ার জন্য বাইরে থেকে ৯৬ টি বাস ভাড়ায় নিয়েছেন। স্থানীয় বাসভাড়া নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন পৌর মেয়র আক্কাছ আলী। এছাড়াও মাইক্রা ভাড়া করে অনেকেই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। তবে ভাড়া সম্পর্কে কিছু জানাননি তারা।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *