তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে গম চাষে বাম্পার ফলন ও দামেও খুশি বরেন্দ্র অঞ্চলের গম চাষিরা। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ মন করে গমের ফলন পাচ্ছেন চাষিরা। সেই সাথে বাজারেও দাম রয়েছে তুলনামূলক অনেক বেশি। এবার যারা গম চাষ করেছেন তারা ভালো স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকে আমন ধান তোলার পরে আলু বা সরিষা রোপণ না করে করেছেন গম চাষ। উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে গম চাষের সমারোহ। মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে গমের সবুজ পাতা। আবার কিছু কিছু জমির গম সোনালী রঙে পাক ধরতে শুরু করেছে। অথচ কালের বিবর্তনে দিন দিন বিলুপ্তির পথে যেতে বসেছিল গম চাষ।
একসময় তানোর উপজেলার প্রতিটি মাঠ জুড়ে চাষ করা হতো গম। কিন্তু বর্তমানে কৃষক আলু চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। ফলে গম চাষ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার কলমা ইউনিয়নের চৌরখৈল মাঠে গম চাষি আব্দুল হালিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গম চাষ করে ভালো ফলন হয়েছে তার ছোট ভাই হাসানের। আড়াই বিঘা জমিতে গম চাষ করে হাসান পেয়েছে প্রায় ৩১ মন গম। আমার গমও ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলনও ভালো হবে। একই এলাকার আরেকজন গম চাষি সোহাগ আলী, রিপন আলী ও মিজানুর রহমান জানান, তারা এবছর আলু চাষ না করে সেই জমিতে গম চাষ করেছেন। গমের গাছও খুব ভালো হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে গম চাষে খরচ হয়েছে ১০ হাজার থেকে ১২হাজার টাকা। তবে সার বিষের দাম বেশি না হলে গম চাষে আরো খরচ কম হতো। এবার গম চাষে তেমন রোগবালাই নাই।
কিন্তু বেড়েছে ইঁদুরের হানা। কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছেনা ইঁদুরকে। গমের গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে ইঁদুর। তারা বলেন, কৃষি দপ্তর থেকেও তারা তেমন কোন ফলপ্রসূ পরামর্শ পাচ্ছেন না। যার জন্য গমে পাক ধরার শেষ সময়ে ইঁদুরের উপদ্রুব্রে অতিষ্ঠ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গম চাষিররা। তানোর উপজেলা কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করে এবার উপজেলা জুড়ে কত হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। এবং গম চাষিদের মাঝে উপসহকারী বিএস কর্মকর্তারা যান কি-না জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্ব.বা/বা