তানোরে হুমকির মুখে শিবনদী ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে সংযোগ সড়ক,উদাসীন কৃর্তপক্ষ 

রাজশাহী লীড
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহী তানোর ও মোহনপুর বাসীর যোগাযোগের সেতু বন্ধন শিবনদী বা বিল কুমারী বিলের ব্রীজ হুমকির মধ্যে পড়েছে, সেই সাথে ভেঙ্গে গেছে দু’পারের সংযোগ সড়ক। এতে করে দুই উপজেলার জনসাধারন চরম ঝুকি নিয়ে চলাচল করছেন, সেই সাথে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধ বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ। কারন মাস খানেকও হয়নি কাজ শেষ হওয়া,অথচ ভেঙ্গে একাকার অবস্থা। ফলে স্থানীয় সাংসদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, নচেৎ মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচির কথা ভাবছেন দুই উপজেলা বাসি।
জানা গেছে, তানোর ও মোহনপুর উপজেলা বাসীর প্রানের সেতু বন্ধন শিবনদী ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঠিকাদারের খামখেয়ালীপনা এবং নানা অনিয়মের কারনে ব্রীজের পূর্ব মুখের সংযোগ সড়ক ভয়ংকর ভাবে ভেঙ্গে গেছে। যার কারনে ব্রীজ হুমকিতে পড়েছে। যে কোন সময় পুরো সড়ক ভেঙ্গে গেলে ব্রীজ দেবে বা বসে যাবে বলে মনে করছেন পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌর সদর গোল্লাপাড়া জলিলের দোকান থেকে টি বাধ পর্যন্ত সংযোগ সড়ক। সড়কটি গত বারে এইচবিবি করন করা হয়। সম্প্রতি দু’বেলার ভারি বর্ষনে ব্রীজের পশ্চিমের সড়কটির ইট খোয়া বালি উঠে পুরাতন কাদা মাটি বেরিয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে অসংখ্য গর্ত। জমে থাকছে পানি। ব্রীজের পশ্চিম মুখ কিছুটা ভালো থাকলেও রাতের আধারে পানি বের করার জন্য রড ছাড়াই ঢালাই দেয়া হয়েছে। আর ব্রীজের পূর্ব মুখের পানি বের করা ঢালায় ভেঙ্গে তচনচ হয়ে পড়েছে। পূর্ব দিকের মুখ সংলগ্ন দু’ধারে প্রচুর ভাবে ভেঙ্গে গেছে ও ইট সরে ভেঙ্গে একাকার হয়ে পড়েছে। শুধু মুখ না তার কয়েক হাত পরে সড়ক ভয়ংকার ভাবে ভাঙ্গতেই আছে। কিন্তু এত অবস্থা খারাপ হলেও এলজিইডি দপ্তরের দেখা নাই।
পথচারী বাবু,, বকুল, টুটুল, জুয়েল, আকতার, মইফুল, শরিফুল, মনি, আনোয়ার, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৫ দিন আগে কাজ  হল, অথচ ১৫ দিন না যেতেই বাইক নিয়ে যাওয়াও চরম ঝুকি। ধার ভেঙ্গে ইট ব্লক সরে গেছে। সামান্য দু’বেলার বৃষ্টিতেই এমন ভয়াবহ ভাঙ্গন। তাহলে বন্যার স্রোত হলে কিছুই খুজে পাওয়া যাবেনা।
ভ্যান চালক, মাসুদ, ওহাব, শফিকুল, সামাদসহ অনেকে জানান, আর কয়েক দিন পর এসড়ক দিয়ে ভ্যান নিয়ে যাওয়া যাবেনা। কারন ব্রীজের মুখ ও বালু দিয়ে ভরাটের পর যতটুকু এইচবিবি করা হয়েছিল তার দু’পাশে যে ভাবে ভাঙ্গছে তাতে করে অল্পদিনেই সবকিছু ভেঙ্গে যাবে।
ঠিকাদার আব্দুর রশিদ জানান, এলজিইডি কর্তৃপক্ষ যে ভাবে বলেছে সে ভাবে কাজ করা হয়েছে। তাদের কথামত কাজ করতে গিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমি অন্য ভাবে করতে চেয়েছিলাম তারা করতে দেয়নি। ব্রীজের পূর্ব দিকে আরেকটি ব্রীজ না করলে কোনভাবেই সড়ক টিকবেনা। ২৯৫ ফিট রাস্ত বালু দিয়ে ভরাট এইচবিবি ও ব্লকের জন্য মোট বরাদ্দ ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এবরাদ্দের কাজ চলমান রয়েছে। তবে পুরোটাই জলে গেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, সড়ক যত ভাঙ্গবে বা বসে যাবে ততই ভালো হবে। কারন তাহলে দূর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে পারব। আপনি এর আগে বলেছিলেন বালু  ভরাট করে মজবুত সড়ক হবে কোন ভাঙ্গন হবে না প্রশ্ন করা হলে তিনি সদ উত্তর না দিয়ে একই ধরনের কথা বলে এড়িয়ে যান।
স্ব.বা/বা
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *