তানোরে বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর মারপিটে আহত ১ 

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারপিটে বয়োজ্যেষ্ঠ পিয়ারুল মারাত্মকভাবে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৯ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পৌর সদর কুঠিপাড়াগ্রামে ঘটে ঘটনাটি। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক খতেজান বিবি বাদি হয়ে শহিদুলসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এঘটনায় উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,কুঠিপাড়াগ্রামের পোষ্ট অফিসের উত্তর পূর্ব দিকে পিয়ারুলের বাড়ি। বাড়ি মুল দরজা ছিল টিনের। সেই দরজা ও তার সাইডের টিন কাঠ ভেঙ্গে পড়ে আছে। বাড়িতেই বয়োবৃদ্ধ লাঠি নিয়ে চলাফের করছেন আর কাদছেন আহত পিয়ারুলের মা সমর ভান,  তিনি বলেন, ভালোভাবে চলতে পারিনা। রবিবার বাড়িতে এসে সোলেমানের পুত্র  শহিদুল ও শরিফুল এবং তাদের ছেলেরা দলবলসহ এসে ভেঙে অকাথ্য ভাষায় গালমন্দ মন্দ করে আমার বয়োজ্যেষ্ঠ পুত্র পিয়ারুলকে কিল ঘুষি লাথি মারে। হামলার সময় আমার নাতি মনিরুল ছিল না। তাকে মেরে ফেলার কারনে হামলা করেছিল। মনিরুল কে না পেয়ে তার পিতা পিয়ারুল কে পেটায়। সে এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। শহিদুল ও শরিফুলের ভয়ে আছি। না জানি কখন আবার মারধর করে। বাড়ির ছবি তুলতেই কিছু প্রতিবেশীরা বলেন তারা সবাই নিজের আত্মীয়। কিন্তু মনিরুল রা গরীব আর শহিদুলরা টাকা ওয়ালা। টাকার গরমে বাড়িতে অন্যায় ভাবে হামলা করেছে যা সঠিক হয়নি। এসবের কঠোর বিচার হওয়া দরকার।
অভিযোগ কারী খতেজান বিবি বলেন, আমার ছেলে মনিরুল কে মেরে ফেলার জন্য হাসুয়া লাঠি নিয়ে হামলা করে ভাংচুর করেছে শহিদুল ও শরিফুল রা। ওই সময় আমার ছেলেকে না পেয়ে স্বামী পিয়ারুলকে বেধড়ক কিল ঘুষি মারে তারা। মেরে তারা হুমকি দিয়ে বলে তোর স্বামীকে উত্তম মাধ্যম দিলাম, ছেলেকে পেলে শেষ করে দিতাম। থানা পুলিশ কোর্ট আমাদের পকেটে থাকে। তাদের ভয়ে চরম নিরাপত্তা হীনতায় বাস করছি। এর কয়েক বছর আগে তারা আপোষ নামায় বলেছিল মারধর হামলা করবে না। কিন্তু তারা টাকা ওয়ালা এজন্য বারবার আমাদেরকে মারধর করছে।
খতেজানের ছেলে মনিরুল বলেন, পাড়ার এক মহিলার স্বামীর সাথে শহিদুল ও শরিফুলদের বাকবিতন্ডা হয়। আমি জেনেছি আক্রোশ থেকে আমাদের বাড়িতে হামলা করে আমার বয়োজ্যেষ্ঠ পিতাকে মারধর করেছে। থানায় অভিযোগ করার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছিল। আমরা এর ন্যায্য বিচার চাই।
অভিযোগে উল্লেখ, গত রবিবার বিকেলের দিকে কুঠিপাড়াগ্রামের কালামের সাথে মনোমালিন্য হয় শহিদুল ও শরিফুলের। কালামের সাথে মনিরুল থাকার কারনে বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর করে ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি করে শহিদুল ও শরিফুলরা।
থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *