ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক গর্ত থেকে এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার রাতেই পুলিশ নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করেছে। মরদহগুলো হচ্ছে ত্রিশালর রামপুরের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের আলী হাসানের স্ত্রী আমেনা বেগম(৩০) ও তাদের দুই ছেলে আবুবক্কর(৪) ও আনাস (২)। অভিযাগ উঠেছে আলী হাসানই হত্যা করে তাদের এভাবে নির্জন জায়গায় মাটিতে পুঁতে রাখে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আজ ওই গর্ত থেকে এক শিশুর মরদেহ টেনে বের করে শিয়াল। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে এক নারী ও দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে। লাশগুলো বেশ কয়েক দিন আগে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। ওই নারীর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। আর শিশু দুটির বয়স যথাক্রমে তিন ও ছয় বছর।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হাসান জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে তিনটি লাশ উদ্ধার হলে তাৎক্ষণিক পরিচয় না মিললেও রাতে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। ছয় বছর আগে ত্রিশালের সাখুয়া গ্রামের বাবুপুর গ্রামের আব্দুল খালেকর মেয়ে আমেনা বেগমের বিয়ে হয় রামপুরের কাকচর নয়াপাড়ার আব্দুল হামিদর ছেলে আলী হাসানের সাথে। সংসারে দু’টি ছেলে জন্ম নেয়। আলী হাসান কোনো কাজ না করায় স্ত্রী আমেনা বেগম এক বাড়িতে ঝি’এর কাজ করতো।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তির টাকা না দিতে পারায় স্ত্রী’কে গার্মেন্টস নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আলী হাসান স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তাদের আর পাওয়া যায়নি বলে এলাকাবাসী পুলিশকে জানায়। অভিযাগ উঠেছে আলী হাসানই তাদের হত্যা করে লাশ বাড়ির কাছেই নির্জন জায়গায় মাটিতে পুঁত রাখে। আলী হাসানকেও পায়নি পুলিশ। গতকাল দুপুরে প্রথম কাটা হাত-পা দেখতে পায় স্থানীয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় মাটিতে পুঁতে রাখা অর্ধগলিত তিনটি লাশ উদ্ধার করে। প্রথম পরিচয় না মিললেও রাতে পরিচয় পেয়েছে ত্রিশাল থানা পুলিশ। আলী হাসানকে গ্রেফতার করলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানায় পুলিশ।