বাঘায় ছাত্রী ধর্ষণের প্রধান আসামি শিমুলকে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি শিমুল হোসেন(৩০)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিয়ানে, বৃহসপতিবার (২২-৬-২০২৩) সকালে  ঢাকার মানিকগঞ্জের বাস ষ্ট্র্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানায়, শিমুল হোসেন উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের পলাশিফতেপুর গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে । মামলার অপর দুই আসামি- একই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে পারভেজ আলী(২৩) ও আসলাম ব্যাপারির ছেলে রকি আহমেদ(১৮) পলাতক রয়েছে।

গত ১৩ জুন চতুর্থ শেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে শিমুল হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ছাত্রীর চাচা সাইদুর রহমান। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে।

জানা যায়,গত ১৩ জুন স্কুলে না যাওয়ার কারণে ছাত্রীকে বকাঝকা করেন তার চাচা সাইদুর রহমান। এর পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে চকরাজাপুর বাজারে যাওয়ার পাঁকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। অপর দিক থেকে মোটর বাইকে আসছিল ওই ৩জন। তারা ফাঁকা রাস্তায় ছাত্রীকে একা পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তারা উদপুর গ্রামের আমিনের খাপালের পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে শিমুল হোসেন হোসেন ছাত্রীকে ধর্ষন করে। অপর ২জন- পারভেজ আলী(২৩) ও রকি আহমেদ পাহারা দিচ্ছিল। ঘটনার পর আত্বগোপনে চলে যায় তারা।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাতে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা। পরের দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে শারিরিক পরীক্ষা করানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,ছাত্রীর মা আমেরজান বিবি সৌদি প্রবাসি। পিতা জাহিদুল ইসলাম ঢাকায় রিকসা চালান। ওই ছাত্রী ও তার ছোট ভাই দাদার কাছে থেকে লেখা পড়া করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই কামরুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে  ছাত্রীকে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে শিমুল হোসেন। বিষয়টি নিয়ে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *