রাজশাহীর পবায় পুকুর খননের মাটি বিক্রির মহাউৎসব

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী পবা উপজেলার রামচন্দ্রপুর হাটের ভালাম এলাকায় প্রায় ২০ বিঘা ধানি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ ইউএনও এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই রাতের আঁধারে ওই পুকুর খনন করছেন রাজু নামের এক ব্যক্তি। এই পুকুর খনন হলে স্থানীয় কৃষকদের দক্ষিণের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে বলেও উল্লেখ করেন। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকরা।

২৪ মে (বৃহস্পতিবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাতের অন্ধকারে প্রসাশনকে তোয়াক্কা না করেই পুকুর খনন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। একের পর এক কাঁকড়া গাড়িতে করে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাশ্ববর্তী একটি ইটের ভাটাতে এবংকি বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় পরে থাকা মাটিতে যেন মৃত্যুর ফাঁদ। একের পর এক পুকুর খননের মাটি বিক্রির মহাউৎসবে মেতেছে পবার রামচন্দ্রপুর এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিবেদক ভুক্তভোগীদের বক্তব্য রেকর্ড করে সংশ্লিষ্ট বিষয় পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অভিজিৎ সরকারকে অবগত করেন।

এছাড়াও প্রতিবেদক পবা থানার ওসি (সোহরাওয়ার্দী) বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, একই এলাকায় গত কয়েকদিন আগে অভিযান করে একটি পুকুর খনন বন্ধ করে দিয়েছিলেন এসিল্যান্ড স্যার। যদিও আবারও পুকুর খনন চলমান রাখে তাহলে আপনারা এসিল্যান্ড স্যারকে অভিযোগ দেন। এখানে পুলিশের কিছুই করার নাই।

এ বিষয়ে পুকুর খননকারি রাজু জানান,আমি পুকুর করছি আরোও অনেকে করছে আমার পুকুর কেউ বন্ধ করতে পারবেনা আপনি ইউএনও থানা যাকে ইচ্ছা বলেন কাজ আমার চলবেই আমি ম্যানেজ করেই কাজ করছি আমার সাথে ইউএনও স্যারের সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে।

পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অভিজিৎ সরকার গত ২দিন আগেও আমরা অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করেছিলাম সেখানে কাউকে না পেয়ে ২টা গাড়ির ব্যাটারী জব্দ করেছিলাম। আপনার মাধ্যমে আবারও অবগত হলাম যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করছি।

কথা বললে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রতিবেদককে বলেন, আপনি এখনই আমার অফিসে আসেন চা খাওয়ার দাওয়াত রইল। পবায় পুকুর খনন এবং মাটি বিক্রির মহাউৎসব অভিযোগে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ২দিন আগে এসিল্যান্ড অভিযান পরিচালনা করেছিলেন আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *