বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করে রাজশাহীর বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশে হামলা ও মারপিটের অভিযোগে জেলা ছাত্রদলের এক নেতা এই মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে।
রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন আহম্মেদ শামীম সরকার বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেছেন। এছাড়া জাহিদ হাসান নামের আরেক ছাত্রদল কর্মী বাদী হয়ে পৃথকভাবে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান।
ওসি বলেন, রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন আহম্মেদ শামীম সরকারের মামলার এজাহারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এই মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০২৩ সালের ২১ মে দুপুরে বাঘা উপজেলার নতুন বাসস্ট্যান্ডে রাকিবের দোকানে বসে ছিলেন ছাত্রদল নেতা সালাউদ্দিন আহম্মেদ শামীম সরকার। সেখান থেকে চোখমুখ বেঁধে তাকে হত্যার উদ্দেশে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে গিয়ে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তাকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয় এবং পায়ে রিভলবার দিয়ে গুলি করা হয়। এতে পায়ের তিনটি নখ উপড়ে যায়। এক সপ্তাহ ধরে লোমহর্ষক নির্যাতনের পর ২৮ মে মামলা দিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুকুমে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের কর্মী-সমর্থকরা তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার উদ্দেশে এই নির্যাতন চালায়।
এদিকে ছাত্রদল কর্মী জাহিদ হাসানের দায়ের করা অপর মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, গত ২৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর বাজারের একটি মুদি দোকানে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ধারালো হাঁসুয়া, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক, পিস্তল নিয়ে এই হামলা চালায়। তারা সেখানে ত্রাস সৃষ্টি করতে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং দোকানটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ১৪১ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন তিনি। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের আরও ১০০ থেকে ১৫০ জন নেতাকর্মীকে।