স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে করোনার উপসর্গ জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে রাজশাহীর সংক্রমণ ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে চারজন রোগী আইসোলেশনে রয়েছেন।
তারা করোনা আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষা করা হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনার চিকিৎসার জন্য গঠিত কমিটির নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ বলেন, আইসোলেশনে থাকা চারজন রোগীর মধ্যে তিনজন নতুন। এদের একজন রাজশাহী শহরের। একজন এসেছেন রাজশাহীর চারঘাট থেকে। অন্যজন এসেছেন পাবনা থেকে। তাদের প্রত্যেকে আলাদা আলাদা করে রাখা হচ্ছে। এদের বয়স ৩৫, ২৫ ও ১৮। প্রত্যেকেই মাস্ক পরে আছেন। চিকিৎসকরা সুরক্ষিত পোশাক পরেছেন।
তিনি জানান, আইসোলেশনে থাকা চারজনের মধ্যে একজন প্রচণ্ড আতঙ্কিত। তাকে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। ওষুধও দিতে হচ্ছে। আতঙ্ক মাঝামাঝি জায়গায় থাকলে ভালো। আতঙ্ক না থাকলে মানুষ অসচেতন থাকে, তখন ভাইরাস ছড়াতে পারে। কিন্তু আতঙ্ক তীব্র হলে রোগীরা সমস্যায় পড়েন। এত তীব্র আতঙ্ক আমাদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
ডা. আজিজুল হক আজাদ বলেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই এই চারজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হবে। কেউ যদি আক্রান্ত শনাক্ত হন তবে তাকে কখনোই সন্দেহভাজন রোগীদের সঙ্গে রাখা হবে না।
তিনি বলেন, আমরা বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতাল অধিগ্রহণের চেষ্টা করছি। এটা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কেউ শনাক্ত হলে তাকে প্রাইভেট হাসপাতালেই রাখা হবে। সেখানে কারও অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে গেলে তাকে নিয়ে আসব রামেক হাসপাতালের ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানে কেউ সংকটাপন্ন হয়ে গেলে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হবে।
পরিকল্পনা চূড়ান্ত উল্লেখ করে ডা. আজাদ বলেন, চিকিৎসকদেরও টিম করা হয়েছে। একজন চিকিৎসক টানা সেবা দিতে পারবেন না। আক্রান্ত রোগীদের সাতদিন চিকিৎসা করার পর তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হবে।
তিনি বলেন, চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তারা তাদের কর্তব্যস্থল থেকে কীভাবে ফিরবেন, কোথায় কীভাবে থাকবেন- প্রত্যেকটা বিষয় মাথা রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে ১৫টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। আরও পাঁচটি আসতে পারে।
এ সময় রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌসও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য উপজেলা পর্যায় থেকে রোগী রাজশাহীতে আসার দরকার নেই। কারণ, তিনি আক্রান্ত হলে তা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গ্রামে কারও মাঝে জ্বর-সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্টের মতো করোনার উপসর্গ দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই খবর দিতে হবে। সেখান থেকেই তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। সূত্র: যুগান্তর।
স্ব.বা/শা