কাজী মোঃ জমিরুল ইসলাম মমতাজ (দক্ষিন সুনামগঞ্জ): করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মা। বাবা পরিবার রেখে চলে গেছেন অন্যত্র। কীভাবে বাঁচবে সেরকমই একটি আঁকুতি ৬ বছরের ছেলে ফরহাদের চোখে-মুখে।’ এরকম একটি ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন সংবাদকর্মী এন এ নাহিদ। মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে পৌঁছে যায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের কাছে। চোখ এড়ায়নি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদেরও।
সংবাদকর্মী নাহিদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে খাদ্যসামগ্রী আর অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাসহ রোববার দুপুরে পৌঁছে যান অসহায় শিশু ফরহাদ আহমদের ভাঙ্গা ঘরে। তার মায়ের হাতে তুলে দেন প্রায় ২০দিনের খাদ্যসামগ্রী। চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ছিলো খাদ্যসামগ্রীর তালিকায়।
জানা যায়, শিশু ফরহাদ আহমদ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন বাঘেরকোনা (পিছেরবাড়ি) গ্রামের ছালেহা বেগমের বড় ছেলে। বাবা আবদুল মন্নান। ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (৩) জন্মদিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে সংসার নিয়ে আছেন অন্যগ্রামে। সেই থেকে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে জীবনযুদ্ধ শুরু ছালেহা বেগমের।
করোনাভাইরাসে ঘরবন্দি থাকায় রীতিমতো খাদ্যের অভাবে পড়েন বাবার ভিটায় থাকা ছালেহা। পাড়াপড়শির ঘর থেকে খাদ্য চেয়ে এনে চলছিলো তাদের। খবর পেয়ে এমন দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেন সংবাদকর্মী নাহিদ। তারপরই ভাইরাল হয় লেখাপড়া করার স্বপ্ন দেখা শিশু ফরহাদ।
এসময় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সহ-সভাপতি এম এ কাশেম, সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাঈন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ সোহেল তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক ইয়াকুব শাহরিয়ারসহ থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যপারে সংবাদকর্মী নাহিদ বলেন, ‘যখন শুনলাম যে একটি পরিবার বেশি অসহায় পড়েছেন তাদের সহযোগিতার উদ্দেশে এমন একটি ভিডিও ধারণ করেছি। এভাবে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়বে বুঝতে পারিনি।’
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘একটি ভিডিও দেখে আমি সংবাদটি পাই। পরে খোঁজ নিয়ে তাদের বাড়িতে এসে দেখেছি। পাশে দাঁড়ানোর একটু চেষ্টা করেছি মাত্র। মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ পুলিশ এ উপজেলার মানুষের পাশে আছে। সবাই ঘরে থাকুন। নিরাপদে থাকুন।
স্ব.বা/শা