স্টাফ রিপোর্টার : অনুসন্ধান ছাড়ায় কিছু মনগড়া সংবাদ পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ হচ্ছে। যার সম্পর্কে সংবাদ তাঁর অজান্তেই সেই সংবাদ কপি পেস্ট করে চলছে কিছু অসেচতন গণমাধ্যমকর্মী ও মিডিয়া । রাজশাহীতে ‘কাউন্সিলরের সালিশে মনক্ষুন্ন হয়ে যুবকের আত্মহত্যা” এমন শিরোনামে একটি নিউজ প্রচার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে কাউন্সিলর এই প্রচারকে অপপ্রচার বলে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ তুলে রাজশাহী সিটি করপোরেশন রাসিকের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার বলেন, একটি গোষ্ঠী আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে । ‘কাউন্সিলরের সালিশে মনক্ষুন্ন হয়ে যুবকের আত্মহত্যা’ এমন শিরোনামে আমাকে জড়িয়ে কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইনে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা সঠিক নয়। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা রাজপাড়া থানাধীন বসুয়া এলাকার জনৈক বাবুর ছেলে ফাহিম হোসেন ইয়ামিন এর কোন বিচার শালিশ আমি করিনি। গতকাল বুধবার একটি ছোট মারামারির আপোষ মিমাংসা করা হয়েছিলো সেখানে ফাহিম হোসেন ইয়ামিন বাদি বা বিবাদী কোনটাই ছিলো না। সে আপোষ মিমাংসায় সাক্ষী ছিলো। তাও চার নম্বর সাক্ষী। আপোষ মিমাংসায় সাক্ষীর মানক্ষুণ্ণ হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
কাউন্সিলর আনার আরো বলেন, আত্মহত্যা করা ইয়ামিনের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সুরতহাল শেষে তার পরিবারের কাছে দ্রুত হস্তান্তর এর যাবতীয় দায়িত্ব তিনিই পালন করেছেন। এছাড়াও তার দাফনের সময়ও তিনি উপস্থিত ছিলেন। কোন এক গোষ্ঠী সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। বিষয়টি তদন্ত করে অপপ্রচারকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর জানান, লাশের সুরতহাল দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইয়ামিন আত্মহত্যা করেছেন। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে সে ঘটনা বের করার চেষ্টায় আছি।
তিনি আরো বলেন, বসুয়া এলাকায় ইয়ামিন এর বাড়ির আশে পাশে খোজ নিয়ে জানতে পেরেছি ইয়ামিন তার বাবা মা এর সাথে গত বুধবার রাত তিনটা পর্যন্ত বিবাদে জড়িয়ে ঝগড়া বিবাদ করছিলেন। তবে কি কারনে তা জানতে পারেননি তিনি।
ময়না তদন্তের প্রতিবেদন এবং পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান ওসি।
স্ব.বা/ম