বাগমারা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারায় বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রচারণা চালাতে গিয়ে এক নারী সদস্য প্রার্থী দলবদ্ধভাবে ধর্ষিত হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে সামনে রেখেই প্রার্থী গিয়েছিলেন প্রচারণা করতে।
সূত্র জানায়, ধর্ষণের পর ঐ নারী নিজে বাদী হয়ে ঐসব ধর্ষকের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় মামলা করেছেন। ঐ মামলার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বাগমারা থানা পুলিশ। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ফিরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ওই প্রার্থী।
একজন স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন ওই নারী সদস্য প্রার্থী।
এসব বিষয়ে ধর্ষণের শিকার ঐ নারী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অনেকটা ভেঙে পড়েছেন তিনি। তবে প্রচারণা চালাতে গিয়ে যেহেতু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাই এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মাঠেই আছেন। ভোটারদের কাছ থেকে তিনি সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করায় বাগমারা থানা পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি হলেন বাগমারার সাইধারা গ্রামের মৃত মেছের আলীর ছেলে মাহাবুর রহমান (২৮),মৃত লাল মোহাম্মাদের ছেলে আকবর হোসেন (৩৫),বাহমনীগ্রামের আজাহার আলীর ছেলে সোহেল রানা (২৪),বেলাল হোসেনের ছেলে দুলাল হোসেন (২৫) ও আয়েন উদ্দীনের ছেলে ফজলুর রহমান (৪৮)।
মামলার এজাহারের সুত্র ধরে বাগমারা থানা পুলিশ জানিয়েছে, যে আগামী আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়ে এক নারী সদস্য প্রার্থী বাগমারা উপজেলায় যান। প্রচারণা শেষ হতে রাত হয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পথে পাঁচ ব্যক্তি তাঁর গতি রোধ করেন। এ সময় তাঁরা তাঁকে তুলে নিয়ে অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এরপর পুলিশ তদন্ত করে মামলার সত্যতা পাওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করে। পরদিন রাতে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক আফজাল হোসেন বলেন,মামলায় আসামীদের নাম, ঠিকানা ও বাবার নাম ভুল থাকায় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তাকৃত ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
স্ব.বা/ম