বাঘা প্রতিনিধি: নিজের দেওয়া সোনার গহনা বন্দুক রাখার বিষয়ে জানতে চাওয়ায়,উল্টো তাকেই মারধর করে পায়ের গোড়ালির হাঁড় ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজশাহীর আড়ানি পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব উদ্দীনের দুই ছেলে ও ছেলের স্ত্রী বিরুদ্ধে বাঘা থানায় এই অভিযোগ করা হয়েছে । বুধবার(৭-১২-২২) তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন রোকসানা বেগমের মেয়ে ফাহমিদার রহমান। তাদের বাড়ি উপজেলার আড়ানি পৌরসভার হামিদকুড়া গ্রামে।
জানা যায়,মঙ্গলবার(০৬-১২-২০) বিকেলে সোনার গহনা বন্দুক রাখার বিষয়ে রুবো স্বর্ণকারের কাছে জানতে যান রোকসানা বেগম । সেখান থেকে ফেরার পথে নিজ গ্রামের হিন্দুপাড়ার বিপ্লবের বাড়ির সামনে আড়ানি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল আফতাব উদ্দীনের দুই ছেলে রবিউল ইসলাম ও নান্টু আলীসহ তাদের স্ত্রী,যে যেভাবে পেরেছে তাকে কিল ঘুষি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মেরেছে। এতে তার বাম পায়ের আঙুলের গোড়ার হাঁড় ভেঙে গেছে। পরে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানকার চিকিৎসক নিহার চন্দ্র মন্ডল জানান,ওই নারির বাম পায়ের আঙুলের গোড়ার হাঁড় ভেঙে গেছে।
রোকসানা বেগম জানান,তমাস আগে বিয়েতে যাওয়ার কথা বলে প্রতিবেশি নান্টু আলীর স্ত্রী সালেহা বেগম তার কাছ থেকে সোনার তৈরি গলার হার,হাতের বালা,কানের দুল ও আংটি নিয়ে যায়। পরে সেগুলো ফেরত না দিয়ে স্বর্ণকারের কাছে বন্দুক রাখে। বিষয়টি জানার পর ২মাস আগে তার স্বামী তুফান আলী তাকে তালাকও দিয়েছে ।
কাউন্সিলর আফতাব উদ্দীনের ছেলে নান্টু আলী বলেন,মেয়েদের সাথে জগড়া হলে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি ও আমার ভাই তাকে মারধর করিনি। সোনার গহনা নেওয়ার বিষয়ে অস্বিকার করে নান্টু আলী বলেন,রোকসানা বেগমই এলাকার অনেক মেয়ে মানুষের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে ঘরবাড়ি ও সোনার গহনা কিনেছে। আমাকে সাথে নিয়েই রুবো স্বর্ণকারের কাছে তার সোনার গহনা বন্দুক রেখেছে। রোকসানা বেগমের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অনেক অবিযোগ আছে বলে দাবি তার। রুবো স্বর্ণকারের সাথে যোগাযোগ করলে বলেন, কারো কাছ থেকে সোনার গহনা বন্দুক রাখেননি।
বাঘা থানার কর্তব্যরত অফিসার,এসআই কামরুজ্জামান জানান,এ বিষয়ে রোকসানা বেগমের মেয়ে ফাহমিদার রহমান বাদি হয়ে অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্ব.বা/রু