প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে ঘর বেঁধেছেন নেপালি তরুণী সানজু

চারণ সংবাদ জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন সানজু কুমারী খাত্রী (২০) নামে এক নেপালি তরুণী। ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ের পর বসবাস করছেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের হুমায়ুন কবীবের ছেলে প্রবাসী প্রেমিক নাজমুল হোসেনের বাড়িতে।

এখন তার নাম রাখা হয়েছে খাদিজা আক্তার। নেপালের কাঠমুন্ডু শহরের ওই তরুণী সম্প্রতি পারিবারিক সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে নাজমুলের হাত ধরে বাংলাদেশে চলে আসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে কাজ করার সময় সানজু কুমারী খাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় নাজমুলের। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১ ফেব্রুয়ারি) নাজমুলের সঙ্গে নেপাল থেকে বাংলাদেশে আসেন ওই তরুণী। বাংলাদেশে আসার পর তারা দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

নবদম্পতিকে দেখার জন্য নাজমুলের বাড়িতে ছুটে আসছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। স্বামীর বাড়িতে বাঙালি নারীর মতো স্বাভাবিক কাজ-কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন ওই নেপালি তরুণী। তবে তার ভাষাগত কিছু সমস্যা রয়েছে। বাংলা ভাষায় সব কথা তিনি বুঝতে পারলেও বলতে কিছুটা সমস্যা রয়েছে।

প্রবাসী নাজমুল হোসেন জানান, নেপালের আদালতেও তাদের বিয়ে হয়েছে। তারপর টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজ করেন এবং স্থানীয় এক নিকাহ রেজিস্ট্রার দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়েছে।

নেপালি তরুণী খাদিজা আক্তার বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাজমুলকে অনেক ভালোবাসি। আমি আর নেপালে ফিরে যাবো না।

নাজমুল বলেন, একজন হিন্দু মেয়ে আমাকে ভালোবেসে মুসলমান হয়ে বিয়ে করেছে। নিজের দেশত্যাগ করে বাংলাদেশে এসেছে। আমি ওর প্রতি কৃতজ্ঞ। সবার কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাই।

নাজমুলের বাবা হুমায়ুন কবীর বলেন, ছেলের বউ দেখে আমরা খুব খুশি হয়েছি। ওদের আনন্দেই আমরা আনন্দিত। কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ ওই নেপালি তরুণীর বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে সখীপুর নিকাহ রেজিস্ট্রার ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম কাজী বাদল জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে প্রথমে তারা কোর্ট ম্যারেজ করলেও বিকেলে তিনি মুসলিম আইনানুসারে নিকাহ রেজিস্ট্রি করেছেন।

ওই তরুণীর নেপালে বিয়ে, বাংলাদেশে বসবাসের অনুমতিপত্র, আদালতের মাধ্যমে বিবাহ সম্পাদন ও ইসলাম ধর্ম গ্রহণের এফিডেভিট কপিসহ বিবাহ বন্ধনের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র প্রাপ্তির পর তিনি এ বিবাহ সম্পন্ন করেছেন। সূত্র: জাগো নিউজ।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *