বাগাতিপাড়ায় প্রকল্পের কাজ শুরু না করেই অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ!

রাজশাহী লীড

আল-আফতাব খান সুইট, নাটোর: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই বরাদ্দের সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এসব প্রকল্পের দু-একটির আংশিক কাজ হলেও দীর্ঘদিন পরেও বাকি প্রকল্পের কাজ শুরুই হয়নি। তবে, উপজেলা চত্বরে সংস্কার ও উন্নয়ন কাজে গৃহীত এসব প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে অনেক আগেই। কাগজ কলমে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে কমিটি থাকলেও এসব প্রকল্পের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বাস্তবায়ন কমিটি। কাজ না করেই সভাপতির স্বাক্ষর নিয়ে ৫ মাস আগেই বরাদ্দের সম্পূর্ণ অর্থ উত্তোলন করেছে উপজেলা পিআইও অফিস। আর ৫ মাস আগে ইউএনও অফিস সেই অর্থ হাতে পেলেও অদৃশ্য কারণে দৃশ্যমান হয়নি এসব প্রকল্প।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টিআর কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা চত্বরে শিশু পার্কের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ ১ লাখ টাকা এবং উপজেলা পরিষদের সাধারণ বরাদ্দ ৫২ হাজার টাকা। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর মুর‍্যাল সংস্কার বাবদ ৬০ হাজার, শহীদ মিনার সংস্কার বাবদ ৮০ হাজার, গাড়ি পার্কিং উন্নয়ন বাবদ ২ লাখ, পুকুরের প্যালা সাইড নির্মাণে ১ লখ ৫০ হাজার টাকা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার শেড নির্মাণে বরাদ্দ ১ লাখ টাকা। কাজের শুরুতে বরাদ্দের অর্ধেক টাকা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের ছবি জমা দিয়ে বাকি অর্থ উত্তোলনের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তবে উপজেলা চত্বরে গৃহীত এসব প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকারি নিদের্শনা মানা হচ্ছে না।

এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সভাপতিদের অধিকাংশই এসব প্রকল্পের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। পিআইও অফিস থেকেই এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তবে প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন করতে তাদের ডেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। উত্তোলনকৃত অর্থ কে কিভাবে ব্যয় করছে সে বিষয়ে তাদের কিছুই জানা নেই।

উপজেলা চত্বরে শিশু পার্কের উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং বাগাতিপাড়া সদর ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ শেখ জানান, ‘অফিস থেকে বলে এটা এমপির কাজ বা ইউএনও’র কাজ। তাই বাধ্য হয়েই তাদের কথা মত চলতে হয় আমাদের।’ প্রকল্পের সভাপতি হলেও এ সব প্রকল্প কোথায় কি কাজ হচ্ছে, কিভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে তা জানেন না তিনি।

বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মুমিনুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাইমেনা শারমীন বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছে। এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই মোটামুটি সব কাজ শেষ করা হবে। বরাদ্দের সম্পূর্ন টাকা উত্তোলনের ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো কাজ শেষ করতে না পারার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যস্ততা ও রমজান মাসে মিস্ত্রি না পাওয়ায় কোন কোন কাজ শুরু করতে একটু দেরি হয়েছে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *