ভাড়া নিয়ে তর্ক, মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে পালাল অ্যাম্বুলেন্স

আন্তর্জাতিক লীড

স্বদেশবাণী ডেস্ক: বাড়ির সামনের রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রেখে গেলেন এক অ্যাম্বুলেন্স চালক। দীর্ঘক্ষণ সেখানেই পড়ে রইল দেহটি। মর্মান্তিক এ ঘটনার সাক্ষী রইল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালির অন্তর্গত চকমানিক গ্রাম। কয়েক ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে থাকার পর স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান উদ্যোগী হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সৎকার করা গেল দেহটির।

ভয়াবহ করোনা বিধিনিষেধের কারণে এমনিতেই গাড়ি নেই ভারতের রাস্তায়। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন চকমানিক এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ রায়। রোববার (১৬ মে) বিকেলে হঠাৎ-ই তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যা শুরু হয়। অনেক কষ্টে অভিজিতের মা ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করেন। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় অভিজিতের। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এরপরেই মূলত দেখা দেয় বিপত্তি! নানারকম যুক্তি খাড়া করতে শুরু করেন অ্যাম্বুলেন্স চালক। মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার বদলে তিনি প্রচুর টাকাও দাবি করেন বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের।

শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে দেহ গাড়িতে তুলে হাসপাতাল থেকে রওনা দিলেও মাঝপথেই মৃতদেহ ফেলে চলে যান অ্যাম্বুলেন্স চালক। আর ছেলের দেহ বাড়িতে নেয়ার জন্য রাস্তায় বসেই কান্নাকাটি শুরু করেন মৃতের মা। ঘটনা লক্ষ্য করে এগিয়ে আসেন স্থানীয় মানুষজন।

খবরটি যায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কানেও। বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন ঘটনাস্থলে। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পিপিই পরে শববাহী গাড়িতে তুলে দেন অভিজিৎ রায়ের দেহটি। অতঃপর দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় বজবজ কালীবাড়ি চিত্রলগঞ্জে। রাতে সেরে ফেলা হয় দাহ কার্য।

বিষয়টি অমানবিক উল্লেখ করে পঞ্চায়েত প্রধান বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অসাধু এই অ্যাম্বুলেন্স চালক অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সূত্র- আনন্দবাজার।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *