বাগমারায় এক নারীকে জোর করে তালাকনামায় স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ

রাজশাহী লীড

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় জোর পূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর পূর্বে উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বীরকয়া গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে শাহজামালের সাথে একই উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের নরদাশ গ্রামের আফাজ উদ্দীনের মেয়ে সালমার বিয়ে হয়। তাদের একটি শিশু পুত্র সন্তান রয়েছে।

কাজ কর্ম না করার অপরাধে সালমার শশুর বাড়ির লোকজন সালমাকে মাঝে মধ্যে মারধর করতো বলে জানান,মেয়ের বাবা আফাজ উদ্দীন। মেয়েকে মারধরের সংবাদে সালমার বাবা ও চাচা বীরকয়া গ্রামে গেলে জামাই, জামাইয়ের বাবা ইয়াদ আলী ও তাঁদের আত্মীয়স্বজন মিলে তাদের আটকিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সাদা কাগজ ও তালাকনামায় জোর পূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে নেয়।

দেনমোহর ধার্য্য ছিল ৯০ হাজার টাকা। সাদা কাগজে কুড়িজন গণ্যমান্য ব্যক্তির স্বাক্ষর থাকলেও, কনে পক্ষের বাপ-চাচা ছাড়া নরদাশ গ্রামের কোন গন্যমান্য ব্যক্তির স্বাক্ষর নাই।

সরজমিন বীরকয়া গ্রামে গেলে শাহজামাল প্রতিবেশীর বিয়েতে বর যাত্রী হওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। শাহজামালের বোন ও মা জমেলা বিবি জানান, বিয়ের সময় ৫৫ হাজার টাকা নেয়া হয়েছিল ঐ টাকা দিয়ে আপোষে তালাক দেয়া হয়েছে। কেন তালাক হলো জানতে চাইলে তাঁরা জানান, আমার ছেলে শাহজামালকে বউমার পছন্দ না তাই।

বীরকয়া গ্রামের যে নিকাহ রেজিস্ট্রার রফাতুল্যা (কাজী) তালাকনামা সম্পন্ন করেন, তিনি কাচারী কোয়ালপিাড়া ইউনিয়নের কাজী এবং বীরকয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে দাবী করেন। আপনার বাড়ি বীরকয়া বাসুপাড়া ইউনিয়নে, আর আপনি কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের কাজী হলেন কী ভাবে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার কোয়ালীপাড়া ও রাজশাহীতেও বাড়ি আছে।কাজী রফাতুল্যা ৫৫ হাজার টাকায় তালাকনামা হয়েছে বলে স্বীকার করেন। ৯০ হাজার টাকা দেন মোহর আর ৫৫ হাজার টাকায় রফাদফা এটা কোন আইনে সমর্থন করে, কাজী সাহেব এমন প্রশ্নের সদোত্তর দিতে পারেনি।

বাগমারা উপজেলা নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, রফাতুল্যা কাজীর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, তিনি আমাদের সদস্য নন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *