দক্ষিণ সুনামগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

কৃষি জাতীয় লীড

কাজী মোঃ জমিরুল ইসলাম মমতাজ (দক্ষিন সুনামগঞ্জ): অগ্রহায়নের শুরুতেই আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ায় পুরোধমেই নবান্নের ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে উঠেছে হাওরাঞ্চলের সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার বাতাস। রোগ ও পোকার আক্রমন না থাকায় এ বছর দক্ষিণ সুনামগঞ্জ আমনের বা¤পার ফলন হয়েছে।

এতে কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনা ঝরা হাসি। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে, লাভবান হবেন বলে আশাবাদী কৃষকরা। চারিদিকে এখন ধানের মুমু গন্ধ। জমিতে পাকা ধান দেখে হাসিতে আÍহারা প্রতিটি কৃষক পরিবার।

আর এই সোনার ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত দিন পার করতে হচ্ছে উপজেলার কৃষকদের। প্রকৃতিতে পুরুধমেই শীতের জয়গান শুরু হয়েছে। তবে শীতের এই তীব্র জয়গান ও নানা প্রতিকুলতা দূর করে সোনার ফসল ঘরে তুলার আমেজে উপজেলার কৃষকরা। এখনো পুরোধমে ধান কাটা শুরু হয়নি। তবে কৃষকদের আশা কয়েকদিনের মধ্যেই ধান কাটার ধুম পরবে। বিগত বছর গুলোর চেয়ে এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আমনের বা¤পার ফলন হয়েছে। আশা করা যায় লক্ষমাত্রার চেয়েও বেশি ফসল ঘরে উটবে; এবং বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার লাভের অংকটাও হয়তো বেশি হবে।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে। গত ২/৩ বছরের তুলনায় এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। পোকামাকড়ের আক্রমণ এই নেই বললেই চলে। মাঝে ইদুরের উপদ্রব দেখা দিলে তা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে দমন করা সম্ভব হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ আমনের মাঠ, পোকা বা কোনো রোগের আক্রমন নেই।

জমিতে ভালো ফসল হওয়ার এবং ফসল পেকে যাওয়ায় অনেক জায়গায় দেখা যায়, কৃষক পাকা ধান কেটে আঁটি বেঁধে নিয়ে আসছেন। কেউ কেউ মাড়াইয়ের কাজ করছেন। অনেক কৃষানিরা আবার কুলা দিয়ে ধান পরিষ্কারের কাজ করছেন। যা দেখতেই অনেক ভালো লাগছিল, তাই সবাই এখন ধান ঘরে তুলার উৎসবে সামিল।

উপজেলার পাগলা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান কয়েক বছর থেকে আমি ধান চাষ করে আসছি, এ বছরেও আমি ৫ কেদার জমিতে আবাদ করছি। এখন জমির অবস্থা অনেক ভালো। প্রথম দিকে কিছুটা পোকামাকড় থাকলেও ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভ হবে। বীরগাঁও গ্রামের কৃষক মইন উদ্দিন বলেন, ফসল ভালা অইছে। যদি ঠিকমত ধান ঘর তুলতাম পারি তে আশা কররাম ইবার লাভবান অইমো।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, পোকামাকড়ের আক্রমণ ছিলনা বলে গত বছরের চেয়ে এবার ফসল ভালো হয়েছে। আশাকরি কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে কৃষকরা লাভবান হবেন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *