গরীবের চাল চুরি করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন বরিশালের এক চেয়ারম্যান

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের ত্রাণের চাল চুরি করে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে ধরা পড়ার পর প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ। সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বসে এ ক্ষমা চান বলে নিশ্চিত করেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) ফিল্ড অফিসার শেখ মোহাম্মদ আলী।

করোনাভাইরাস মহামারিতে সরকারের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের অসহায় কর্মহীন পরিবাবের মাঝে ৬.৭৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। যা ওই ইউনিয়নের ৬৭৫ জন অসহায় কর্মহীণ পরিবারের মাঝে আগামী কয়েকদিনে বিতরণের কথা রয়েছে। যা সোমবার দিনভর রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষে প্যাকেট করা হচ্ছিল।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্যাকেটজাত ১০ কেজি চালের বিপরীতে ৯ কেজি ৫শ’গ্রাম চাল বিতরণের উদ্দেশ্যে প্যাকেট করেন সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর এনএসআই’র ফিল্ড অফিসার শেখ মোহাম্মদ আলী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে বিতরণের উদ্দেশ্যে প্যাকেটজাত চালের বস্তা নতুন করে পরিমাপ করে অভিযোগের সত্যতা পান। এ ঘটনার সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ, ট্যাগ অফিসার শহিদুল ইসলাম ও বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য উপস্থিতি ছিলেন।

এ সময় ওজনে চাল কম দেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা দুঃখ প্রকাশ করে সকলের সামনে হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে এমন ঘটনা ঘটবে না এবং সকল প্যাকেটে ১০ কেজি হারে চাল দেওয়া হবে ঘোষণা দেন চেয়ারম্যান।

ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে এনএসআই’র ফিল্ড অফিসার শেখ মোহাম্মদ আলী পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ১০ কেজি চালের স্থলে ৯ কেজি ৫শ’গ্রাম চাল বিতরণের উদ্দেশ্যে প্যাকেট করেন রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীতে ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা। এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিত হাওলাদার বলেন, এনএসআই’র মাধ্যমে বিষয়টি জেনে আমি চেয়ারম্যানরে সাথে কথা বলছি। তিনি জানিয়েছে আমরা আনুমানিক হারে প্যাকেট করেছি সেখানে কিছু কম হয়েছে। পরবর্তীতে বিতরণের সময় পরিমাপ করে ১০ কেজি হারে বিতরণ করবো।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহমুদ বলেন, বস্তায় কিছুটা ঘাটতি থাকে বিধায় পরিমাপে কিছু কম দেয়া হয়েছিলো। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সঠিক পরিমাপে প্যাকেট করা হয়েছে। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *