সংসদের মুলতবি অধিবেশন বসছে বুধবার, পাস হতে পারে ‘ভার্চুয়াল আদালত আইন’

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: জাতীয় সংসদের মুলতবি অধিবেশন বুধবার বেলা ১১টায় বসবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করবেন। গত ৩০ জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাস করার পর সাতদিনের জন্য অধিবেশন মুলতবি রাখা হয়।

বুধবার অধিবেশবন চলার পর এর সমাপ্তি হতে পারে। এই অধিবেশনে ভার্চুয়াল আদালত আইনসহ ২-৩টি আইন পাস হওয়ার কথা রয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে।

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ১০ জুন বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১১ জুন সংসদে ৫ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। ১৬ জুন থেকে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরুর কথা থাকলেও ১৫ জুন সম্পূরক বাজেট পাসের পর অধিবেশন ২৩ জুন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতিটি বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে আর মাত্র ৪ থেকে ৫ কার্যদিবসে অধিবেশন সমাপ্ত করা হচ্ছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে সংসদ অধিবেশনে এসে যাতে কেউ সংক্রমণের শিকার না হন, সে বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে কড়াকড়ি নিয়ম আরোপ করা হয়। সংসদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সংসদ সচিবালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনার নমুনা টেস্ট করিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়।

সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে অংশ নেয়ার জন্য ১৭০ জন সংসদ সদস্যের করোনা টেস্ট করা হয়। এর বাইরে প্রবীণ ও অসুস্থদের সংসদে না আসার পরামর্শ দেয়া হয়। অধিবেশনে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন সংসদ সদস্য যোগ দেন। তারা সবাই মাস্ক, গ্লাভস পরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অধিবেশন কক্ষে বসেন।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে গত ৭ মে মন্ত্রিসভা ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার বিল-২০২০’ অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয়ার পর তার ভিত্তিতে ভার্চুয়াল আদালতের কাজ শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারির পর তা সংসদে তোলা হয় গত ১০ জুন। অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে হলে চলমান অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়কে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করে অনুমোদন করাতে হবে। না হলে ৩০ দিন অতিবাহিত হলে অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা লোপ পাবে।

তার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যদেশটি আইন হিসেবে জারি করতে গত ২৩ জুন সংসদে বিল তোলা হয়। ওই দিন জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

পরে শুধু জরুরি প্রয়োজন হলেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর পক্ষে মত দেয় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। সংসদে বিলটি আসার পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং আইন বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে এই সুপারিশ চূড়ান্ত করে সংসদীয় কমিটি।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *