বান্ধবী বানিয়ে তরুণীদের জোগান দিতো নূরী, ধর্ষণ করতো চান্দু

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানাধীন সুপারিওয়ালাপাড়ায় বান্ধবীর সহযোগীতায় তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা চান্দু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সুপারিওয়ালাপাড়ায় তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক চান্দু মিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত অন্য তিনজন হলো- ধর্ষিতার বান্ধবী নুরী আক্তার (২০) ও তার স্বামী মো. অন্তর (২২) এবং চান্দু মিয়ার বন্ধু রাজিব হোসেন (২০)। তারা ধর্ষক চান্দু মিয়ার সহযোগী। চান্দু মিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ডবলমুরিং থানার এসআই নুরুল ইসলাম জানান, চান্দু মিয়া ক্ষমতাসীন রাজনীতির দলের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্নভাবে সে এলাকায় ক্ষমতাশালী।

তার চার তলা বাড়িতে ভাড়া থাকেন নুরী আক্তার ও তার স্বামী। নুরী আক্তার বিভিন্ন সময় চান্দুকে তরুণী জোগান দিয়ে আসছিল। সে নিজেও অসামাজিক কাজে লিপ্ত। এরই ধারাবাহিকতায় ওই তরুণীকে চান্দু মিয়ার হাতে তুলে দেন নূরী।

আনুমানিক ২০ বছর বয়সের ওই তরুণী সপ্তাহ খানেক আগে ফেনী থেকে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় ফুফুর বাসায় বেড়াতে আসেন। তার ফুফাতো বোনের বান্ধবী নুরী আক্তার। সেই সুবাদে নুরীর সঙ্গেও ওই তরুণীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। রোববার সন্ধ্যায় নুরী আক্তার ওই তরুণীকে তার বাসায় বেড়াতে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নুরী কৌশলে ওই তরুণীকে চান্দুর বাসায় পৌঁছে দেয়।

এরপর বাসার ভেতরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে পাহারায় ছিল নুরী আক্তার। চান্দু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর নুরী ওই তরুণীকে তার ফুফুর বাসায় পৌঁছে দেয়। কিন্তু বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে তরুণীকে বাসার লোকজন জিজ্ঞাসা করলে তিনি সবকিছু খুলে বলেন।

তখন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেয়া হয়। সেখান থেকে ডবলমুরিং থানায় খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরী আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর নুরীর কাছে মোবাইল নিতে এসে গ্রেপ্তার হন স্বামী অন্তর। চার দিন আগে তাদের বিয়ে হয়।

তবে অন্তর ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানে না বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে। নুরী আক্তার বন্দর থানার তিন নম্বর ফকিরহাট কাশিম মাঝির বাড়ির মৃত মো. বশিরের মেয়ে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান এসআই নুরুল ইসলাম। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *