সাংবাদিক হেনস্তা মামলায় শমী কায়সারকে অব্যাহতি

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করার অভিযোগে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে অভিনেত্রী শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে ৫ মার্চ তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আদালতের দেওয়া তথ্য মতে, ৪ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। বিচারক চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেন।
এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান। সাক্ষী খুঁজে না পাওয়ায় শমী কায়সারকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে কোনো সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।’
এর আগে গত বছরের ২৪ অক্টোবর এ মামলায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের ‘সত্যতা পায়নি’ মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব রহমান। ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী নুজহাতুল হাসান।
সেই নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৫ নভেম্বর একই আদালত অভিযোগটির অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।  পরে পিবিআই একই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ২৪ এপ্রিল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষ করে কেককাটার সময়ই হঠাৎ করে তিনি জানান, তার স্মার্টফোন দুটি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ফোন দুটিতে কল দিয়ে তখনও সচল পাচ্ছিলেন তিনি।
শমী কায়সারের এমন মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় তার নিরাপত্তাকর্মী সবার দেহ তল্লাশি করতে চাইলে তাতে সম্মতি জানান উপস্থিত সংবাদকর্মীরা।
তল্লাশির সময় অনেকে বের হতে চাইলে শমী কায়সার সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে ওঠেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসা সাংবাদিকরা। এ ঘটনায় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয় সাংবাদিকদের।
পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন।
ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।
এর পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শমী কায়সারকে নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। নানা বয়স ও পেশার মানুষেরা সাংবাদিকদের প্রতি শমী কায়সারের এমন আচরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *